খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে : খসরু
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে গুলশান বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
বিজ্ঞাপন
বিদেশে নিয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, ‘বারবার বলার পর ওনাকে (খালেদা জিয়া) বিদেশে চিকিৎসা নিতে দেওয়া হচ্ছে না। চিকিৎসকরা বারবার বলার পরও সরকার তা গ্রাহ্য করছে না। যার কারণে ওনাকে দেশের চিকিৎসার মধ্যে সীমিত থাকতে হচ্ছে। অথচ দেখা যাচ্ছে এই দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায়ের রাজনীতিক নেতা ও কর্মীরা পর্যন্ত বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বাইরে (বিদেশে) যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘এসবের উদ্দেশ্য একটাই, খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বাইরে রেখে সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের যে প্রক্রিয়া, সেটা যেন তারা সফলভাবে করতে পারে। তারা ভীত-শঙ্কিত, কারণ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া। এই কারণে ওনাকে আজকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে দেওয়া হচ্ছে না। এটাই একমাত্র উদ্দেশ্য। তবে তাদের এই উদ্দেশ্য সফল হবে না। কারণ আজকে দেশের মানুষ খুব ভালোভাবে জানে কেন তাকে জেলে দেওয়া হয়েছে ও কেন তাকে চিকিৎসা নিতে দেওয়া হচ্ছে না। ওনাকে এই অবস্থায় রেখে আবারও ক্ষমতা দখল করার যে চেষ্টা করা হচ্ছে এর প্রতিবাদ দেশের মানুষ করবে, দেশের মানুষ এর জবাব দেবে। ওনাকে জেলে দিয়েও তারা রক্ষা পাচ্ছে না।’
‘এই অনির্বাচিত দখলদার সরকার পতনের আন্দোলনে দেশবাসী আজকে রাস্তায় নেমেছে’- বলে দাবি করেন খসরু। বলেন, ‘চলমান আন্দোলনকে সফল জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আজকে আমাদের আলোচনা হয়েছে। কর্মসূচির বিষয়েও আলোচনা করেছি। ঐক্যমতে পৌঁছেছি যে, এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরে যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবে জাতিকে সামনে নিয়ে এই আন্দোলন সফল করব। আজকে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান পরিষ্কার হয়ে গেছে।’
দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার নেই অভিযোগ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, তাদের অপসারণই হচ্ছে একমাত্র পথ। তাদের পতন ছাড়া এ সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে না। সরকারকে পতনে বাধ্য করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। এরপর একটি নির্বাচিত সরকার গঠন হবে যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে। সেই সঙ্গে মানুষ বাংলাদেশের মালিকানা ফিরে পাবে।’
বৈঠকে অংশ নেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
এএইচআর/কেএ