আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, আজকের নতুন প্রজন্ম যখন ইতিহাস জানবে তখন তাদের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষ মুখরিত হবে। সারাদেশের মানুষ জেগে উঠবে, বিএনপি-জামায়াতকে ঘৃণা করবে। এর মধ্য দিয়ে তাদের (বিএনপি-জামায়াত) রাজনীতির কবর রচিত হবে। 

শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুবলীগের ২৫ মার্চের কালরাত্রি স্মরণ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমু বলেন, গণহত্যা দিবস সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে, সংসদে পাস করতে হবে। বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত করে সরকার সংরক্ষণ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, কেউ কোনোদিন ভাবেনি, চিন্তাও করেনি বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে, কিন্তু শেখ হাসিনা আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন। এর মধ্যে দিয়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে। সঠিকভাবে বিচার করার মধ্য দিয়ে রাজাকার চিহ্নিত হয়েছে।

আমু বলেন, শেখ হাসিনা তো কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে টান দেননি। রাজনৈতিক কারণেই তাকে বারবার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি যারা শেখ হাসিনা বিদেশে থাকার কারণে পঁচাত্তরে হত্যা করতে পারেনি তারা আজকে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আক্রমণ চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, দলের বিরুদ্ধে নয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র। এ যড়যন্ত্র বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র। মুক্তিযুদ্ধের কথা যদি নতুন প্রজন্ম জানতে পারত, তাহলে দেশের মাটিতে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠন করতে পারত না।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রাকিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।

এমএসআই/এসকেডি