ওলামা দল আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে রিজভী

করোনার টিকা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আগেও বলেছি, এখনও বলছি, আমি যেহেতু এই টিকার বিরোধিতা করেছি, যৌক্তিকভাবেই করেছি। আমি  টিকা নেব না। আজকে প্রমাণিত হলো এই টিকার কার্যকারিতা নেই। এটি প্রাণঘাতী, এর বিরুদ্ধে সারা দুনিয়া ধিক্কার দিচ্ছে।’ 

তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশে যে টিকা দিয়েছে তা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সন্দেহের তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স বলেছিল, এই টিকা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে বাংলাদেশে। অর্থাৎ এই টিকা নেওয়ার পর আমরা কত লোক মারা যাচ্ছি, কত লোক অসুস্থ হচ্ছে এটা আগে ভারত দেখবে। তারপর ওরা সিদ্ধান্ত নেবে। ভারতের এই টিকা থাইল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক বন্ধ করে দিয়েছে।’ 

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওলামা দল আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে রিজভী এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের রোগমুক্তি কামনায় এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণের সময় জনগণের দাবি ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা। এর জন্য মানুষ উন্মুখ হয়েছিল। কিন্তু তিনি মানুষের সেই দাবির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বিশ্বাসঘাতকতা।’ 

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সুস্পষ্টভাবে স্বাধীনতার কথা বলেননি। বরং বলছেন ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা। এ ভাষণে জনগণকে কোনো দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। মার্চের ভাষণ কি স্বাধীনতা যুদ্ধের কোনো আওয়াজ? এটা তো হচ্ছে দর কষাকষি।’ 

৭ মার্চ পাকিস্তানের কাঠামোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের বক্তৃতা বেশ উদ্দীপনাময় বক্তৃতা। কিন্তু সেই বক্তৃতার মধ্যে তো স্বাধীনতার উদ্দীপনার কথা নেই। পাকিস্তানে তিনি সরকার গঠন করবেন, সেই কথার বাইরে কিছু নেই।’ 
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

এএইচআর/আরএইচ