পথ হারিয়ে বিএনপি পদযাত্রা শুরু করেছে : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পথ হারিয়ে বিএনপি পদযাত্রা শুরু করেছে। তাদের রাজনীতি ভুলের চোরাগলিতে আটকে গেছে। পদযাত্রা করে উদ্ধার করা যাবে না। তাদের আন্দোলনের মরণযাত্রা শুরু হয়েছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
বিজ্ঞাপন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো পালিয়ে যায়নি। ওয়ান ইলেভেনে পালানোর গল্প শুধু বিএনপির আছে। রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে আছে। রিমোট কন্ট্রোলে অদৃশ্য নির্দেশে চলা আন্দোলন করে বাংলাদেশে জয়ী হওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, মানুষের মনের জোর যখন কমে যায় তখন গলার জোর বেড়ে যায়। বিএনপি ও ফখরুলেরও গলার জোর বেড়ে গেছে। আগে সুর ছিল গরম এখন নরম কেনো। পথ হারিয়ে বিএনপি পদযাত্রা শুরু করেছে। আন্দোলনের মরণযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না আওয়ামী লীগ, তাই বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানাই।
তিনি আরো বলেন, ডোনাল্ড লু-এর (মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী) ঢাকা সফর শেষে বিএনপি হতাশায় ডুবে গেছে। বিএনপি ভেবেছিলো ডোনাল্ড লু তাদের পক্ষে কথা বলবে, তাদের আশা পূরণ হয়নি। হতাশায় ডুবতে ডুবতে বিএনপি নেতারা হাসপাতালে। শেখ হাসিনা সরকার পালায়নি, আওয়ামী লীগের নেতারা জেলে ছিলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপি নেতারা দালালি করে জেলের বাইরে ছিলো।
আওয়ামী লীগের নেতকর্মীদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগে বিভক্তি নয়, শৃঙ্খলা থাকতে হবে। গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনার কানের শ্রবণশক্তি কমে গিয়েছিলো, তাই চিকিৎসার জন্য সাময়িক সময়ের জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন।
ফখরুলকে মিথ্যাচার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে আটকাতে কত আয়োজন করেছিলো বিএনপি সেটা ভুলে গেলে চলবে না। ওয়ান ইলেভেনের পালানোর গল্প বিএনপির, মুচলেকা দিয়ে তারা লন্ডন পালিয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
এমএসআই/জেডএস