আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ডলার হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আলোচনা সভায়টি বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে। 

তিনি বলেন, আজকে আমাদের মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনৈতিক দেশ। যেভাবে এগিয়ে চলছে ২০২৬ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ডলারে উন্নতি হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজ মুক্তির সংগ্রাম করছেন। বাংলাদেশকে একটা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে ভিশন ২০৪১, ২১০০ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব টানেল, একদিনে শত সেতু-শত রাস্তা, বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের বিস্ময়। 

রিজার্ভ নিয়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের হতাশার কথা সিঙ্গাপুরে শুনে এসেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের রিজার্ভ স্থিতিশীল। আমাদের জিডিপি এখন সাড়ে সাত। আমরা গর্ব করে বলতে পারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন অভিযাত্রা শুরু হয়েছে, আমরা আরও এগিয়ে যাব।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, যারা এই বাংলায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করেছে, পুরস্কৃত করেছে, হত্যার দায় থেকে মুক্তি দিতে কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন করেছিল মনে আছে তাদের কথা? যারা এই বাংলার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। যারা এই দেশে ১ কোটি ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল। যারা এদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছিল। যেজন্য তারেক রহমান সাত বছরের দণ্ড নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

ওবাদয়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িকতা আর জঙ্গিবাদের বিশ্বস্থ ঠিকানা সেই বিএনপির হাতে এদেশের ক্ষমতা আমরা তুলে দিতে পারি না। তাদের হাতে ক্ষমতা আমরা ফিরিয়ে দিতে পারি না। তারা বলছে, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। খুনির কাছে, দুর্নীতিবাজদের কাছে আমি আমার সোনার দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলার ক্ষমতা মঞ্চ ফিরিয়ে দেব, এটা হবে না। এটা হতে পারে না। তাই আমি সবাইকে আহ্বান জানাবো- গেট রেডি, প্রস্তুত হউন। সামনে নির্বাচন। সাম্প্রদায়িক শক্তি বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় আজকে মাঠে নেমেছে জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসবাদী। এদের প্রতিহত করতে হবে, পরাজিত করতে হবে।     

এমএসআই/এসএম