ফখরুলের প্রশ্ন তাদের এত ভয় কেন
সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনারা এতো ভয় পান কেন, কেন একটা অনুমতি দেওয়ার পরেও চতুর্দিক বন্ধ করে দিয়ে আমাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সমাবেশে আসতে দেন না। কারণ, আপনি জানেন নেতাকর্মী ও সমস্ত জনগণ যদি জেগে ওঠে তাহলে আপনার ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না।
আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং বিএনপির আটককৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর ও দক্ষিণ এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
বিজ্ঞাপন
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন কার্টুনিস্ট কিশোরকে কী নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, মুশতাক আহমেদ কারাগারে মৃত্যুবরণ হয়েছেন। আমি সাবাস দিতে চাই কার্টুনিস্ট কিশোরকে যে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে সে মামলা করেছে। এই সাহস নিয়ে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই অন্ধকার ও স্বৈরাচারকে দূর করতে হবে। আমাদের সোচ্চার হতে হবে। এই আইনে গ্রেফতার করা বিএনপিসহ দেশের সকল মানুষকে মুক্তি দিতে হবে।
অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করুন। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে গায়েবি মামলা করেছেন তা প্রত্যাহার করুন। সবগুলো মামলা তুলে নিতে হবে, প্রত্যাহার করে নিতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের যে নির্বাচন কমিশন রয়েছে তারা জাতীয় সব নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। সবাইকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আমি সরকারকে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করার দাবি জানাই এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট দানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল আরও অভিযোগ করেন, আপনারা জানেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কেন্দ্র করে আজ সমস্ত বাংলাদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই সরকার গণতান্ত্রিক সরকার নয়। জনগণের সরকার নয়। তারা রাষ্ট্র ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বেআইনিভাবে ভোটের আগের রাতে ভোট কেড়ে নিয়ে গিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এই দখলদারির সরকার শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে আজকে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে।
সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতকর্মী ও সমর্থকেরা অংশ নেন। সকাল ১০টার পর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা জমায়েত হতে শুরু করেন। এ সময়ে আশপাশের রাস্তায় বাস ও পথচারীদের চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সমাবেশ শেষ হওয়ার পর যান চলাচল শুরু হয় ওই সড়কে।
একে/এনএফ