দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিএনপি এ বছরও চেষ্টা করবে
আগের মতো বিএনপি এ বছরও দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চেষ্টা করবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তাদেরকে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা দুটোই আওয়ামী লীগের আছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিনেমা হল মালিক সমিতি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন >> হাইকোর্টে মির্জা ফখরুল-আব্বাসের জামিন আবেদন, শুনানি কাল
নতুন বছর কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন- জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে রাজনীতির ক্ষেত্রে যেটা চ্যালেঞ্জ সেটা হচ্ছে বিরোধীদল বিএনপির সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং তার মিত্রদের দেশবিরোধী অপতৎপরতা। দেশবিরোধী অপতৎপরতা করতে গিয়ে বিদেশিদের পদলেহন এবং বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়া। এগুলো করে তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। কিন্তু সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি নিজেই বেকায়দায় পড়ে গেছে।'
আরও পড়ুন>> আ. লীগের ২২তম কাউন্সিল : ৮১ সদস্যের কমিটিতে স্থান পেলেন যারা
কারণ হচ্ছে গত ১০ ডিসেম্বর তারা ভেবেছিল নয়াপল্টনের সামনে একটি সমাবেশ করতে পারবে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারবে। সেটি তারা করতে পারেনি। ১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের শক্তি এবং সামর্থ্য কতটুকু। এরপরেও বিএনপি এ বছরও চেষ্টা করবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য। তবে আমরা তাদের সর্বোচ্চ অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা দেখেছি ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে। সেগুলো মোকাবিলা করা হয়েছে। সুতরাং তারা কী করতে চায় বা কী করতে পারে সেটি নিয়ে আমাদের ধারণা আছে এবং সেটি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা দুটোই আছে। মোকাবিলা করা সেটি আমাদের জন্য কঠিন কোনো কাজ নয়, বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বছরে অন্তত ১০টি হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি করে প্রদর্শন করতে চাইছে হল মালিকদের সমিতি, এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী জানান, যদি চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং প্রযোজক সমিতি- এ চারটি সমিতি লিখিতভাবে দেয় (আবেদন) আমার কাছে, সবাই একসঙ্গে যদি লিখিতভাবে দেয় আমাকে, তাহলে আমরা বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেবো। কিন্তু সবাইকে এ বিষয়ে লিখিতভাবে দিতে হবে।
এসএইচআর/জেডএস