পুলিশের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কোনো বিরোধ নেই। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পূর্ণ আস্থা ও সম্মান রয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। 

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের আর. করিম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের সময় ‘পুলিশের ওপর হামলার’ কথা বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের অনুমতি চেয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে অনলাইনে এবং প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে সশরীরে আবেদন করা হয়। জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ শাখা পৃথকভাবে গণমিছিলের আয়োজন করে।

তিনি দাবি করেন, মহানগরী উত্তরের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। হাজার হাজার মানুষের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিয়ে পুলিশ বেআইনি কাজ করেছে। 

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে আমরা বিস্মিত হয়েছি। জামায়াত কখনো পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশকে গুম, পুড়িয়ে মারা এবং কখনো কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করেনি। জামায়াত একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বাংলাদেশে রাজনীতি করছে। 

মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সব রাজনৈতিক দলকে মিছিল-মিটিং ও সভা-সমাবেশ করার অধিকার দিয়েছে। সংবিধানের এই অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপের কোনো এখতিয়ার কারো নেই। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জামায়াতকে মিছিল করতে না দেওয়ার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সংবিধান স্বীকৃত অধিকারের পরিপন্থি, সংবিধানের লঙ্ঘন এবং নাগরিক অধিকারের প্রত্যক্ষ বিরোধিতা। 

জেইউ/জেডএস