জনগণের ওপর আঘাত এলে রাজপথে জবাব দেবে যুবলীগ
দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ‘শান্তি সমাবেশ’ করেছে যুবলীগ। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
তিনি বলেন, যুবলীগ যতদিন মাঠে আছে ততদিন এদেশের জনগণের জানমালের ওপর কেউ হাত দিতে পারবে না। আপনাদের (বিএনপি) সেই হাত ভেঙে দেবো। আপনাদের সীমার মধ্যে থেকে রাজনীতি করবেন বলে আশা রাখি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন দেখায়। বাঙালি জাতিকে স্বপ্ন দেখায়, রাজনৈতিক দল হিসেবে, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি স্বার্থক। তিনি মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে জানেন, স্বপ্ন বাস্তবায়নও করতে পারেন। তাই তিনি আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ মানে কি? স্মার্ট বাংলাদেশ মানে বাংলাদেশের প্রশাসনিক কার্যক্রমে জনগণের সম্পৃক্ততা, স্বচ্ছতা, জনগণের অংশগ্রহণ, একটা দুর্নীতিমুক্ত ন্যায়পরায়ণ সমাজ ব্যবস্থা সৃষ্টি করা।
তিনি বিএনপির উদ্দেশে বলেন, আপনারা শুধু ক্ষমতায় আসার জন্য, লোভ-লালসার জন্য রাজনীতি না করে দেশের কথা ভাবলে ভালো হয়। জনগণের কথা ভাবলে একটু ভালো হয়। জনগণের রাজনীতি আপনারা করেন নাই, সারাক্ষণ মিথ্যা আর অপপ্রচারের রাজনীতি নিয়ে পড়ে আছেন। আপনাদের এই ন্যাক্কারজনক রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাখান করেছে।
বিএনপি একটি বিচ্ছিন্নবাদী জঙ্গি সংগঠনে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, গত ১০ তারিখে আপনাদের ডাকে জনগণ সাড়া দেয়নি। এর পরে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু জনগণ ছাড়া আপনারা গণমিছিল কীভাবে করবেন। দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে আরাম আয়েশে আছেন আর এদেশের তরুণ প্রজন্মকে বিপথে ঠেলে দেবেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসী বানাবেন তা হবে না। সেই দিন ভুলে যান।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে এদেশের মানুষ কি চায়? এদেশের জনগণ চায় প্রগতি উন্নতি, শান্তি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা। এ সব চাহিদা বঙ্গবন্ধুকন্যা সঠিকভাবে পূরণ করেছেন বিধায় পর পর তিনবার তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন। আগামী দিনেও তাকে জনগণ ভোট দিয়ে ৫ম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী বানাবে।
শেখ পরশ বলেন, শেখ হাসিনার অভাবনীয় সাফল্যে আপনারা ভীত-সন্ত্রস্ত। আমাদের পদ্মাসেতু হয়ে গেল, আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল হয়ে গেল, সামনেই কর্ণফুলী টানেল হয়ে যাবে। আপনাদের রাজনীতি তো শেষ। তল্পি-তল্পা নিয়ে এখনই প্যাকেটে ভরে, বস্তাবন্দি করে ঘরে ফিরে যান। আপনাদের গণমিছিল গণমিছিল না, আপনাদের ট্যাকটিস বন্ধ করুন। জনগণকে আঘাত করার চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে গড়া সংগঠন। তিনি মুজিব বাহিনীর প্রধান, ষাটের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা শেখ ফজলুল হক মণি।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান পবন, নবী নেওয়াজ প্রমুখ।
এমএসআই/এসএম