বিলুপ্ত হওয়া ২০ দলীয় জোটের ১২ দল নিয়ে গঠিত ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় গুলশান বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টায় শেষ হয়। বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনে এ শরিক জোটদের কাছ থেকে আগামীতে কী ধরনের কর্মসূচি দেওয়া যেতে পারে তার পরামর্শ নিয়েছে বিএনপি।

এ বিষয়ে বৈঠকে অংশ নেওয়া ১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, আজকের বৈঠকে আগামী ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল মিছিলের কর্মসূচিতে কোন জোট কীভাবে অংশ নেবে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল থেকে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে নতুন কী ধরনের কর্মসূচি দেওয়া যায় তা নিয়ে শরিকদের পরামর্শ চেয়েছেন তারা। ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে লং মার্চ, পুরো রাজধানীতে গণঅবস্থান, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া লংমার্চ করার মতো কর্মসূচি দেওয়ার পরামর্শ ছিল।

জোট নেতারা বলছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এ বিষয়গুলো নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন অন্য শরিকদের সঙ্গে বসে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেবেন। তারপর সবগুলো প্রস্তাব নিয়ে লিয়াজোঁ কমিটি বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবে। পরবর্তীতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ এলডিপির সদস্য সচিব শাহদাত হোসেন সেলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সরকার পতনের দাবিতে আগামী যে কর্মসূচি দেওয়ার হবে সেখানে ১২ দলীয় জোট অংশ নেবে।

জানা গেছে, ২ ঘণ্টার নোটিশে এ বৈঠক ডাকে বিএনপি। এতে ১২ দলীয় জোটের মধ্যে ৯টি দলের প্রতিনিধি অংশ নেন। আর ইসলামি ঐক্যজোট, সাম্যবাদী দল ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়নি। আর বিএনপির পক্ষ থেকে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও মোহাম্মদ শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক আলোচনা হয়েছে। পরবর্তী অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে কর্মসূচি ধরন নিয়ে আলোচনা করবে বিএনপি। তারপর চূড়ান্ত কর্মসূচি দেওয়া হবে।

১২ দলীয় জোট কী ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে এহসানুল হুদা বলেন, আমরা জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। সেটা গণ-মানববন্ধন, রোড মার্চ, পুরোদেশে গণঅবস্থান হতে পারে।

এএইচআর/এসকেডি