রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে সরকার : প্রিন্স
রক্ত পিপাসু সরকার রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেছেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যার পর বেছে বেছে দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, তেল-গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচিতে ইতোপূর্বে ১৫ জন নেতা-কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আজ দেশের সব জেলা ও মহানগরে (ঢাকা ও রংপুর ব্যতীত) বিএনপির পূর্ব ঘোষিত শান্তিপূর্ণ গণ-মিছিল কর্মসূচিতে এলোপাতারি মারধর ও গুলি করে হত্যা করেছে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিনকে। স্থানীয় ওসির নির্দেশে পুলিশ বিএনপির মিছিলে গুলি করে হত্যা করে ও বেধড়ক লাঠিপেটা করে। পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবুসহ আরও অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী। পুলিশ এখনও নিহত আরেফিনের মরদেহ ঘিরে রেখেছে। পরিবার ও নেতাকর্মীদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করছে না।
তিনি বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে জনগণ অনুমান করেছিল আজ বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সশস্ত্র হামলা করা হবে। জনগণের অনুমানই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। পঞ্চগড়সহ অন্যান্য স্থানে হামলা, হত্যা, নির্যাতন পূর্ব পরিকল্পিত। দেশকে বিরোধীদল শূন্য করতে সরকারের নীলনকশার অংশ হিসেবেই পঞ্চগড়ের আব্দুর রশিদ আরেফিনকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার দায় সম্পূর্ণ সরকারের।
প্রিন্স জোর দিয়ে বলেন, পরিকল্পিতভাবে বিএনপির সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে সরকার। সারা দেশে কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের গুলি, টিয়ারসেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ করে নেতা-কর্মীদের আহত করেছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় কোনো গণমিছিল চলাকালে অন্তত ৬০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।
এমএইচএন/এমএ