ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একটি গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উসকানি দিচ্ছে। আমরা রাষ্ট্রদূতকে আশ্বাস দিচ্ছি, বাংলাদেশে নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। সবাই এ দেশে নিরাপদ।’

শনিবার বিকেলে বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগেরের শোভাযাত্রায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আন্দোলনেও খেলবে, নির্বাচনেও খেলবে। আপনারা প্রস্তুত হন পরাজয়বরণ করার জন্য। সেমিফাইনাল সামনে, তারপর ফাইনাল। ফাইনালের আন্দোলনেও বিএনপি হারবে, নির্বাচনেও হারবে।

বিএনপিকে পরাজিত করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এখানে এসেছি মোটর সাইকেলে করে। ঢাকায় শুধু স্লোগান, আর স্লোগান। বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষ্যার সব ঢেউ ঢাকা মহানগরীতে।

জনগণ বিএনপিকে ১০ তারিখে লালকার্ড দেখিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পেয়েছে অশ্বডিম্ব। ৩০ ডিসেম্বরেও ঘোড়ার ডিম পাবে, যদি তারা সফল হয় সেদিন ঘোড়া ডিম পারবে। তবে ২৪ ডিসেম্বরের গণমিছিল আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কারণে পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নেওয়ায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান তিনি। 

শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, মানুষ শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনা করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। পৃথিবীর কোনো শক্তি ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যূত করতে পারবে না। নির্বাচনে জনগণ ভোট না দিলে আমরা সালাম করে চলে যাব।

দলটির প্রেসিডিয়ামের আরেক সদস্য শাজাহান খান বলেন, এই শিকড় অনেক শক্তিশালী। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপি-জামায়াত ভেংচি মারে। আমরা কোনো বানরের ভেংচিতে ভয় পাই না। তার জবাব জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আওয়ামী লীগ দেবে।

দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, তাদের রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। যতদিন এসব শক্তি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে সক্রিয় থাকবে ততদিন এই দেশের সমস্যার সৃষ্টি হবে, ষড়যন্ত্র হবে। উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। জাতিকে শপথ নিতে হবে একাত্তর সালে যেভাবে পাকিস্তানিদের দোসরদের পরাজিত করে বিজয়ের পতাকা উড়িূয়েছিলাম। ঠিক তেমনিভাবে পাকিস্তানিদের দোসর বিএনপি-জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করে বিজয় পতাকা উড়িয়ে যাব।

দুপুর আড়াইটায় শোভাযাত্রাটি রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে শুরু হয়, যা শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাব, কলাবাগান হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

এমএসআই/এনএফ