১০ ডিসেম্বরের বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪  সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ফেলতেই বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় (বিএনপি)। পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশকে টার্গেট করেই রাজনৈতিক উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।  

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে নিজ বাসভবনে ১৪ দলের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা।

আমু বলেন, রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও কোনো ধরনের নাশকতা মেনে নেওয়া হবে না। মানুষের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে গণতন্ত্র এবং ভোটের দাবির পেছনে বিএনপির মূল লক্ষ্য সংবিধান পরিবর্তন করা। বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা নষ্ট করার জন্যই তারা দেশে অরাজকতা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আমির হোসেন আমু বলেন, দেশে সাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি করার জন্যই বিএনপি রাজপথে নৃশংসতার পথ বেছে নিয়েছে। ১৪ দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধেই আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়বে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পেশাজীবি সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে ১৪ দল। আমাদের দেশব্যাপী সরব হতে হবে।

জোট সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসসের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খানসহ ১৪ দলীয় জোটের অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এমএসআই/এসএস