১০ ডিসেম্বর অনুমতি দিলেও সমাবেশ করব, না দিলেও করব : গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সমানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছি আমরা। সেখানেই সমাবেশ করব। তারা যদি অপারগতা প্রকাশ করে তাহলেও করব। অনুমতি দিলেও করব, না দিলেও করব। অনুমতির অপেক্ষা আর করবো না। মনে রাখতে হবে, এ দেশটা আমাদের সবার।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
১০ ডিসেম্বর ঢাকার ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ পাহারা দেবে- সেক্ষেত্রে কোনো সংঘাতের আশঙ্কা করছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সাতটি গণসমাবেশ করেছি। সব জায়গায় তারা সংঘাত সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছে। প্রশাসন দিয়ে চেষ্টা করেছে। গাড়ি, লঞ্চ বন্ধ করে দিয়ে চেষ্টা করেছে, তারা তো কোনো পথই বাকি রাখেনি। নতুন কোনো পথ খোলাও রাখেনি। সুতরাং ঢাকার গণসমাবেশে তারা এটা করবে স্বাভাবিক ব্যাপার, অস্বাভাবিক মনে করছি না।
তিনি আরও বলেন, রাতারাতি আওয়ামী লীগ ভালো হয়ে যাবে তা আমরা আশাও করি না। কিন্তু আমরা সরকারের ফাঁদে পা দেব না। আমরা সংঘাত এড়িয়ে গণসমাবেশ করব।
• আরও পড়ুন : ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এক দফার আন্দোলন
ঢাকার গণসমাবেশ থেকে বিএনপি সরকার পতনের কোনো ঘোষণা দিবে কি না জানতে চাইলে গয়েশ্বর চন্দ্র আরও বলেন, এখনও ১০ ডিসেম্বর অনেক দূর। আপনারা ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশে আসবেন। ১০ ডিসেম্বরের কথা সেই দিনই বলবো। আগাম কোনো কথা কেউ বলবে না, আমিও বলব না। আমরা ১০ ডিসেম্বর অবশ্যই পরবর্তী কর্মসূচি দেবো।
তিনি আরও বলেন, ১০ ডিসেম্বরের আগে যদি সরকার জনগণের দাবি মেনে নেয়, সেটা তো অন্য রকম। কিন্তু আমরা তা প্রত্যাশা করতে পারছি না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, নতুন কমিটির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সহ-সভাপতি খন্দকার মাঈনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।
এএইচআর/এনএফ