রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ১৪ জন নেত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৯টায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিজ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোনালি আক্তার, সুস্মিতা বাড়ৈ, জেবুন্নাহার শিলা, কল্পনা বেগম, আফরোজা রশ্মি, মারজানা উর্মি, সানজিদা পারভীন চৌধুরী, এস এম মিলি, সাদিয়া জাহান সাথী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খানম বিন্তি এবং কর্মী রাফিয়া নীলা, নোশিন শার্মিলী, জান্নাতুল লিমা, সূচনা আক্তারের ওপর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।

এসব নেত্রীদের গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৫ তারিখ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছিল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। 

এরআগে একই মাসের ২২ তারিখ ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রীভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে ‘সিট বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির’ অভিযোগ এনে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস। এ কারণে তাকে ছাত্রীনিবাসের একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের একাংশের বিক্ষোভে ইডেন কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা রীভা ও রাজিয়ার বহিষ্কারের দাবি জানান। পরে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ আসে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে।

তদন্ত কমিটির প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে বিরোধীপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পরে সভাপতি রিভা সংবাদ সম্মেলন করতে এলে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দুইপক্ষ। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক কলেজ ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। যদিও চলতি মাসের ৯ তারিখ রাতে কমিটির ওপর আরোপ করা স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আরএইচটি/এসএম