আগুন সন্ত্রাসের নাটক আবার শুরু হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কান্নাকাটিও শুরু হয়ে গেছে। আগুন সন্ত্রাস কারা করেছে এটা দেশের মানুষ ভালো করে জানে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক র‌্যালি পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে মহিলা দল এই র‌্যালির আয়োজন করে। র‌্যালিটি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।  

বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী দল নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভদ্রলোকের দল। আমাদের সন্ত্রাসী করে না, সন্ত্রাসের কোনো রেকর্ড নেই। পিটিয়ে হত্যার কোনো রেকর্ড বিএনপির নেই। গুম-খুন করার কোনো রেকর্ড বিএনপির নেই। পুলিশের কাস্টোডিতে হত্যার কোনো রেকর্ড নেই, পঙ্গু করে দেওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। এই রেকর্ড রয়েছে শুধু আওয়ামী লীগের। এসব করেই আজকে তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।

জনগণ থেকে আওয়ামী লীগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তখন তারা রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থাকে ব্যবহার করে, সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে আগুন সন্ত্রাসের মতো কর্মকাণ্ড ঘটায়। আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, আগুন সন্ত্রাস কারা ঘটিয়েছে। কারা বাসে আগুন দিয়েছিল, তার সঙ্গে জড়িত ছিল, সব রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে।

দেশে আইনের শাসন ফিরে এলে আগুন সন্ত্রাস কারা করেছিল, কীভাবে করেছিল তার প্রমাণ মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে বলেও জানান আমীর খসরু। তিনি বলেন, আগুন সন্ত্রাসের কথা বলে জনগণের আন্দোলনকে দমন করার অপচেষ্টা চলছে আওয়ামী লীগ। বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে। যেখানে লাখ-লাখ মানুষ বিএনপির সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসছে। সেখানে আমরা কেন সন্ত্রাস করব? সন্ত্রাস তো তারা করে যাদের সঙ্গে জনগণ নেই।

দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এদের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। বিএনপিও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না। কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়েছে, তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।

আওয়ামী লীগকে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে হঠাতে হবে বলে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে, তাদের ক্ষমতা থেকে সরানো ব্যতীত কোনো রাস্তা নেই।

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজ আব্বাস নেতৃত্বে র‌্যালিতে আরও অংশ নেয় সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন খান, যুগ্ম সম্পাদক মেহেরুন্নেসা, রাবেয়া আলম, ঢাকা দক্ষিণ মহিলা দলের আহ্বায়ক রুমা আক্তার, উত্তরের আহ্বায়ক রুনা লায়লা প্রমুখ।

এএইচআর/এসএম