সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন এবি পার্টির নেতারা

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য বিভিন্ন তথ্য সংবলিত ৪৬ হাজার পাতার আবেদন জমা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পার্টি।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর নির্বাচন কমিশন ভবনে উপ-সচিব মো. আব্দুল হালিম খানের কাছে এই আবেদন জমা দেন দলটির নেতারা। 

নিবন্ধন আবেদন জমা দেওয়ার পর এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনে আমরা নিবন্ধন আবেদন জমা দিয়েছি। বিভিন্ন তথ্য সংবলিত ৪৬ হাজার পাতার আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে৷ ২৮ জেলা ও ৬ মহানগরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর তথ্য এবং কার্যালয়ের কাগজপত্র কমিশনে দাখিল করা হয়েছে।  

এবি পার্টি জামায়াতের বি- টিম কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির নেতারা জানান, আমরা সরকার বা জামায়াতের কোনো দল না। আমরা চ্যালেঞ্জ করছি, যদি কেউ প্রমাণ দেখাতে পারে, তাহলে যে কোনো কথা আমরা মেনে নেব। যে কোনো ধর্ম, গোত্র ও লিঙ্গের মানুষের জন্য এই দলের দ্বার খোলা থাকবে। 

দলীয় আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, আমরা বাংলাদেশের সংবিধানকে সর্বোচ্চ স্থানে নিতে চাই। সঙ্গে সঙ্গে সব শ্রেণি-পেশা, গোত্র, ধর্ম ও বর্ণের মানুষের অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এজন্যই আমাদের রাজনীতি। প্রায় ৫৩টি জেলায় আমাদের কার্যক্রম আছে। ৩৩ জেলা ও মহানগরের তথ্য আমরা জমা দিয়েছি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের যেসব শর্ত আছে- যেমন নিজেদের অফিস থাকতে হবে, নিজেদের কমিটি থাকতে হবে, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে, সেভাবেই আমরা ৩৩টি জেলা ও মহানগরের তথ্য জমা দিতে পেরেছি। আগামীতে ইনশাল্লাহ সব জেলাতেই কমিটি করব। আমাদের কার্যক্রম চলছে। বলা চলে আমরা সাঁতার কেটে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে এখানে এসে উপনীত হয়েছি। 

প্রায় ৩০ হাজার সদস্য নিয়ে এই আবেদন করা হয়েছে বলে জানান সোলায়মান চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের কর্মীবাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। দিনরাত তারা খেটেছেন। মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন সদস্য সংগ্রহের জন্য। নির্বাচন কমিশনের কী লাভ হয়েছে জানি না, তবে আমার বাংলাদেশ পার্টির লাভ হয়েছে অসাধারণ, অভূতপূর্ব। এক কথায় আমাদের এই কার্যক্রম শুরুর আগে ৪ হাজার ৬০০ সদস্য ছিল। এখন আমাদের মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। 

এমএইচএন/আরএইচ