হারিকেন কিনতে পাঠিয়েছি : সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা দুপুর থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে রসিকতা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, এটাই হচ্ছে এই সরকারের উন্নয়নের নমুনা। কখন বিদ্যুৎ আসবে ঠিক নেই, তাই হারিকেন কিনতে পাঠিয়েছি।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকল ৫টার দিকে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
টুকু বলেন, আমি যেটুকু বুঝি জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের মূল কারণ সবগুলো গ্রিডে ভালো মতো সিনক্রোনাইজড না হওয়া। যার ফলে এ ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাসায় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ইন্টারনেটও নেই। ফলে, যোগাযোগও বন্ধ হয়ে আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সরকার যে সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে আজকে বিদুৎ না থাকার মাধ্যমে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সর্বক্ষেত্রে সরকারের অব্যবস্থাপনা ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে।
দেশে যে এতক্ষণ বিদ্যুৎ থাকবে না তা সরকার কেন আগে থেকে জানবে না এমন প্রশ্ন রেখে মোশাররফ বলেন, এত ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না, এটা ভাবল না। আসলে এই সরকার তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এ বি এম বদরুদ্দোজা খান বলেন, দুপুর ২টার দিকে পাওয়ার শাটডাউন হয়েছে। পাওয়ারের পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। কতক্ষণ লাগবে, কী কারণে হয়েছে- তা এখনো বলতে পারছি না।
কোথায় এ ঘটনা ঘটেছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যমুনার এপারের (পূর্বাঞ্চলের) জেলাগুলোয় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে বিদ্যুৎ নেই।
লোডশেডিং গত কয়েক মাস ধরে একটি স্বাভাবিক চিত্র। আজ দুপুরের দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর অনেকের বুঝে উঠতেও সময় লাগে যে, এটি জাতীয় গ্রিডের বিপর্যয়।
তবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সন্ধ্যার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল গ্রিড ঠিক করতে একটু সময় লাগবে। আমার মনে হয় ২-৩ ঘণ্টার আগে হবে না, সময় লাগবে। আমরা রিকভার করার জন্য চেষ্টা করছি। সন্ধ্যার মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি রিকভার করার। অন্তত আমাদের যেসব সেন্সিটিভ এলাকা আছে, কেপিআইভুক্ত, ওইগুলোতে আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে দেবো।
এএইচআর/ওএফ