আমরা এই মুহূর্তে মারামারির জন্য প্রস্তুত নই : মির্জা আব্বাস
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের দলীয় কর্মসূচিতে হামলার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু ও তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলা হয়েছে। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। একটা অপ্রস্তুত অবস্থায় আমাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আমরা এই মুহূর্তে মারামারির জন্য প্রস্তুত নই।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিএনপির চলমান কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিবর্ষণ ও আওয়ামী লীগের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের কর্মসূচি ছিলো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে। সেখানে আমাদের গায়ে সরাসরি হাত তোলা হচ্ছে। এরইমধ্যে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাহলে কী দাঁড়াচ্ছে, এই দেশের মানুষ কথা বলতে পারবে না। সরকারের অকর্ম আর বেশি দিন সহ্য করা যাবে না। মানুষ ফুঁসে উঠেছে, রাজপথে নামতে চাই।
বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অনুমতি চাইলে বলে, এখানে মিটিং করা যাবে, ওখানে করা যাবে না। তাহলে আমরা কি গণভবন কিংবা বঙ্গভবনে মিছিল করবো?
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলার পর আমাদের তিন জন মারা গেলো। প্রতিটি মিছিল মিটিংয়ে হামলা হলো। এর অর্থ হলো আপনি যা বলেন তা করেন না। তার উল্টোটা করেন।
বর্তমান ‘ছাগল’ মার্কা নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন হবে না মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা নিরপেক্ষ সরকার আদায় করে নির্বাচনে অংশ নেবো।
সোমবার রাজধানীর সুবজবাগে বিএনপির সমাবেশ আছে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এটা আমার এলাকা। সেখানে মিটিং করার জন্য অনুমতি চেয়েছি। অনুমতি না দিলেও মিটিং হবে। অনুমিত দিলে এক জায়গায় হবে। অনুমতি না দিলে একশ জায়গা হবে। কোনো কিছু ঘটলে তার দায়-দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে।
এএইচআর/জেডএস