বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ফয়সালা হবে রাজপথে, আমরা কেউ ফিরে যাব না। যেদিন শেখ হাসিনার পতন হবে, সেদিন বাড়ি ফিরে যাব।

তিনি বলেন, রাস্তায় নেমেছি, হয়তো জীবন যাবে। আর বেঁচে থাকলে দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব। পরিবারকে বলেছি আমাদের চিন্তা করবা না।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধোলাইখালে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন হয়।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গুলি আসুক, লাঠি আসুক কেউ পেছনে ফিরে যাব না। সামনের দিকে এগিয়ে যাব। এটি হচ্ছে আজকের শপথ। বাংলাদেশের আত্মাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, সেটাকে ফেরত আনতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে এখন মাত্র একটি অপশন আছে, সেটি হচ্ছে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখল করা। আমাদের কোনো ভয়-ভীতি নেই, আমরা ভয় ভীতি পার হয়ে চলে এসেছি। রাস্তায় নেমে গেছি। আব্দুর রহিম, নূরে আলম ও শাওন প্রধান মারা যাননি, তারা আমাদের সঙ্গে আছেন, হৃদয়ে রয়েছেন, আন্দোলনে রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশের মানুষ জেগেছে, তারা এ দখলদার স্বৈরাচার ও অনির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার শপথ নিয়েছে। আজকে যারা জনগণের বিপক্ষ নেয়ার চেষ্টা করছে, আওয়ামী বাহিনীর হোক বা পুলিশ বাহিনী হোক, এখান থেকে তাদের বেরিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। দেশের মানুষ সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।

আমীর খসরু আরও বলেন, পুলিশ বাহিনীর যারা যারা আওয়ামী লীগের ভূমিকায় পালন করছেন, তাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের সুরক্ষা দেওয়া, মানুষের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা, জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া।

 বিএনপির এ নেতা  বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের চিন্তা পরিষ্কার। দেশ চরম দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছে, মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। এদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে।  আইনের শাসন নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, জনগণের নিরাপত্তা নেই। সে কারণে পুলিশ প্রধানসহ সাতজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।  পুলিশের আক্রমণের প্রতিবাদ করে গতকালও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বক্তব্য দিয়েছে।

বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জোন-৬ ধুতরাপুর, গেন্ডারিয়া, ওয়ারী, কোতোয়ালি ও বংশাল থানা শাখার উদ্যোগে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন, দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।

এএইচআর/আরএইচ