পুলিশকে প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীকে এখন নতুন করে প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে বিএনপি। তারা এখন পুলিশ বাহিনীকেও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘৃণ্য মিথ্যাচার, রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও উস্কানিমূলক মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই বিবৃতিটি দেওয়া হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীকে এখন নতুন করে প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে বিএনপি। পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে মর্মে মির্জা ফখরুল যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন- এই থেকে প্রমাণ হয়, তারাই তথাকথিত নিষেধাজ্ঞা ষড়যন্ত্রের হোতা। তারাই র্যাবের কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছিল। এখন পুলিশ বাহিনীকেও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
বিএনপি অতীতের ভুলের মাশুল দিচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, পুলিশের ওপর হামলা করবে আর পুলিশ কি চেয়ে থাকবে? রাষ্ট্রের জনগণ ও জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ কি বিধিবদ্ধ দায়িত্ব পালন করবে না? হত্যা, ষড়যন্ত্র আর সন্ত্রাসের রাজনীতির প্রতিফল ভোগ করছে বিএনপি। তারা এখনও অতীত থেকে শিক্ষা নেয়নি। অতীতের ভুলের মাশুল দিচ্ছে। এখনও যদি গণতন্ত্রের পথে ফিরে না আসে, তাহলে ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ তার জবাব দেবে।
সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব আবারও সরকারের পদত্যাগ দাবি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেছেন। বারবার মামা বাড়ির আবদার নিয়ে হাজির হন ফখরুল। সরকার কেন পদত্যাগ করবে? আওয়ামী লীগ জন রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। জনগণ আওয়ামী লীগকে পাঁচ বছরের জন্য দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। মেয়াদ শেষে যথা সময়ে সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে কে ক্ষমতায় থাকবে আর কে থাকবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি ফখরুল করেছেন সেটাতো মীমাংসিত একটি বিষয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে। মীমাংসিত একটি বিষয় নিয়ে নতুন করে আলাপ-আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।
এএইচআর/এমএইচএস