সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জন্য পাঁচ লাখ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নিয়োগ দিয়েছে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তারা সবসময় বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাতে লিপ্ত রয়েছে। প্রতিনিয়ত মিথ্যা, কাল্পনিক গল্প বানিয়ে কাটপিস তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। 

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রিজভী। 

বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমন করতে পুলিশ আবারও নিষ্ঠুর নতুন খেলায় মেতেছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাংবিধানিক অধিকার সভা-সমাবেশে হামলা করে গুলি চালিয়ে নেতাকর্মীদের হত্যার পাশাপাশি এখন শটগানের গুলি চালিয়ে নেতাকর্মীদের চোখ অন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: পার্লামেন্টে সত্য কথা বললেই স্পিকার বলেন, আপনার সময় শেষ

রিজভী বলেন, ভোলায় শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে নুরে আলম ও আব্দুর রহিমকে, নারায়ণগঞ্জে মো. শাওন প্রধানকে হত্যা করেছে। একইসঙ্গে ওইসব স্থানসহ নেত্রকোণা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, বরগুনা, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, ঝালকাঠিতে পুলিশ শটগানের গুলিতে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীদের শরীর ও চোখ-মুখ ঝাঁঝরা করে দিয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে তারা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ইতোমধ্যে অনেকে চোখ হারিয়েছে, কেউ পা, কেউ হাত হারিয়েছে।

গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার পর শটগানের গুলি দিয়ে নেতাকর্মীদের পঙ্গু করে দেওয়ার আরেক নতুন নিষ্ঠুর নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে সরকার— দাবি করেন রিজভী। বলেন, পুলিশকে ব্যবহার করে একটি নতুন নিপীড়নের পথ অবলম্বন করা হয়েছে। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের আরেকটি নতুন ফর্মূলা।

তিনি বলেন, সরকার ইউটিউব চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমিসহ দলের সিনিয়র নেতাদের নামে প্রতিনিয়ত কুৎসা রটাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে কণ্ঠ নকল করে বিভিন্ন ধরনের বানোয়াট ফোনালাপ, কিসসা-কাহিনী বানিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। যার সঙ্গে সত্যতার কোনো বালাই নেই।

এএইচআর/এসএসএইচ