বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, ভারতের সঙ্গেও বন্ধুত্ব চাই। ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। আশা করি, ভারত ১৯৭১ সালে যেভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণকে সহযোগিতা করেছিল একইভাবে গণতান্ত্রিক সংগ্রামেও তারা সহযোগিতা করবে।  

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির সমাধান হবে, অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা পাব, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে। আমাদের যে বাণিজ্য ব্যবধান আছে সেই ব্যবধানগুলো কমে আসবে। আরও সুযোগ-সুবিধা প্রধানমন্ত্রী নিয়ে আসতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীও সেই আশা করে গিয়েছিলেন যে ভারত সেগুলো দিয়ে দেবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী নৃত্য-গীতে ভরপুর একটা সফর দিয়েছেন, সফরটা নৃত্য-গীতে ভরপুর ছিল। আমার দেশের মানুষকে যখন গুলি করে মারা হচ্ছে তখন তারা বিমানবন্দরে গিয়ে নাচানাচি করছেন। এ দেশের মানুষ এটা ক্ষমা করবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, বাংলাদেশের ভালোবাসা না নিয়ে, দেশের মানুষের সমর্থন না নিয়ে এখানে কেউ কখনো কিছু করতে পারবে না। তাই আজ যে ভয়াবহ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, তাদের সরাতে হলে ইস্পাত দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সেই ঐক্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। 

মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশীদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক এসকে সিকদার কাদিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।

এএইচআর/এসকেডি