বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির কারণে দৃশ্যমান সংকট যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে, তখন বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে অবৈধপথে সরকার উৎখাতে অরাজকতা ও নাশকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এর আগেও তারা বিভিন্ন অযৌক্তিক ইস্যুতে জ্বালাও-পোড়াও-সন্ত্রাস ও সাধারণ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। 

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ১৫টি থানার সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়কদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপিসহ গুটি কয়েক রাজনীতিক দল আবার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন মতবিনিময় সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো উপস্থাপন করে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তার সাংগঠনিক কার্যক্রমগুলো চলমান রেখেছে। একইসঙ্গে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম চলছে। 

এছাড়া আজকের মতবিনিময় সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো হলো- আগামী ৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং সভায় প্রথম পর্যায়ে ১৭টি ওয়ার্ডের সম্মেলনের তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এছাড়া আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের উপস্থিতিতে বাকি যেসব ওয়ার্ডে সম্মেলন হয়নি সেসব ওয়ার্ডে সাংগঠনিক অবস্থা যাচাই বাছাই ও পর্যবেক্ষণ করে সুবিধা অনুযায়ী সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে সংগঠনের তৃণমূল স্তরকে শক্তিশালী করে যাচ্ছে। আমরা আদর্শিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এই লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে। 

মতবিনিময় সভায় হালিশহর থানা আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, বাকলিয়া থানার আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আকবরশাহ থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, কোতোয়ালী থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম. জহিরুল আলম দোভাষ, খুলশী থানার আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, ইপিজেড থানার আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া চকবাজার থানার আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, পাহাড়তলী থানার আহ্বায়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, পতেঙ্গা থানার আহ্বায়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসনী, বায়েজিদ থানার আহ্বায়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, সদরঘাটা থানার আহ্বায়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, পাঁচলাইশ থানার আহ্বায়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, বন্দর থানার আহ্বায়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক জহুর আহমদ উপস্থিত থেকে নিজ নিজ থানার সাংগঠনিক অবস্থান সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।

কেএম/জেডএস