প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, জনগণের প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা থাকলে দয়া করে পদত্যাগ করুন। এমন একজনের কাছে ক্ষমতা দিন যিনি সাহাবুদ্দিন সাহেব হবেন। আমরা আর বঙ্গভবনে ও গণভবনে বিস্কুট খাব না। এবারের নির্বাচন কিন্তু ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো হবে না।

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও পুলিশের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক বলেন, শহীদ জিয়া তো উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। তাকে কারা হত্যা করেছে? কার ষড়যন্ত্রে হত্যা করা হয়েছে? বিএনপি ক্ষমতায় এলে কমিশন গঠন করে শহীদ জিয়া হত্যার বিচার করা হবে। আজ যারা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলছেন, সময় আসছে আর কিছুদিনের মধ্যে তাদের চেহারা উন্মোচিত হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, মরা গাঙে এমন জোয়ার আসবে সেদিন আপনার পালানোরও সময় থাকবে না। আপনারা তো এক পক্ষের খেলা শুরু করেছেন। আমার তো মনে হয় নারায়ণগঞ্জে শাওনকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। আপনাকে বলছি খেলা হবে। কিন্তু রেফারি কে হবে তা ঠিক করেন। তারেক রহমানের দলও খেলবে এবং জয়লাভ করবে। আমাদের লক্ষ্য— হটাও মাফিয়া বাঁচাও দেশ, টেকব্যাক বাংলাদেশ। পুলিশ-প্রশাসনকে বলব, বিএনপির বিরুদ্ধে আর অ্যাকশনে যাবেন না। সরকারের অনৈতিক নির্দেশ মানবেন না।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে এনে রাজনীতি করার সুযোগ জিয়াউর রহমান দিয়েছেন। যিনি এ সুযোগ দিয়েছেন, তার স্ত্রীকে নিয়ে যা বলেন তা বলতে গেলে লজ্জা লাগে। মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। আপনিই তো আবার চায়ের দাওয়াত দেন। সেই আপনার শাসনামলে কীভাবে এসব ঘটছে। আপনার কথা তো বিএনপির বিরুদ্ধে হতে পারে না। আপনার কথা হবে সবার জন্য।

ফারুক বলেন, ঝড় কখন আসবে, তা বলা যায় না। বর্তমান সরকার বিএনপিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে। বিএনপি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম কমানোর প্রতিবাদ করছে। আর সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী ভোলায় দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে যুবদলের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। তিনজনকে হত্যা করলেই কি বিএনপি ঘরে ঢুকে যাবে?  না, এবার প্রতিরোধ নয় এখন থেকে প্রতিশোধ হবে। আমরা সবাই প্রস্তুত।

কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতা ও গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও মৎস্যজীবী দলের নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ওলামা দলের শাহ মুহাম্মদ নেছারুল হক, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

আইবি/আরএইচ