জ্বালানির দাম ৫ টাকা কমানো জনগণের সঙ্গে তামাশা
জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে ৫ টাকা কমানোকে জনগণের সঙ্গে সরকারের তামাশা হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। অবিলম্বে আগের (৫ আগস্ট পূর্ববর্তী) দাম নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ এ দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর পর প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ১১৪ টাকায়, ৫ টাকা কমানোর পর বিক্রি হবে ১০৯ টাকায়। অকটেন বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৩৫ টাকায়, এটি নামবে ১৩০ টাকায়। পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, তা কমে হবে ১২৫ টাকা। বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধি, বিপিসির লোকসান এবং জ্বালানি তেল পাচারের অজুহাত তুলে সরকার গত ৫ আগস্ট সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়েছেন। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছিল গণপরিবহনের ভাড়া এবং দ্রব্যমূল্য।
বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী এবং বিপিসির আর্থিক হিসাবে অসঙ্গতি (যা সংসদীয় কমিটি বলেছে) দূর করলে জ্বালানি তেলের দাম কমানো সম্ভব, এটা এখন প্রমাণিত। জনমনের অসন্তোষকে প্রশমিত করার নামে জ্বালানির দাম লিটারে ৫ টাকা কমানোর যে ঘোষণা সরকার দিয়েছে, তা জনগণের সঙ্গে তামাশা এবং ব্যবসায়ীদের সুবিধা বৃদ্ধির নতুন পাঁয়তারা। এই মূল্য কমানোর কারণে পরিবহনের ভাড়া কমবে না বরং পরিবহন মালিকদের লাভ বাড়বে এবং সরকারের রাজস্ব কমবে মাত্র।
তিনি আরও বলেন, এক ধাক্কায় দাম বাড়িয়ে অল্প অল্প করে কমানোর এই নীতি মূলত ব্যবসায়ী তোষণ নীতি। এতে জনগণের উপকার হয় না বরং ব্যবসায়ীদের মুনাফা বৃদ্ধি হয় মাত্র।
এ সময় ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম কমিয়ে আগস্টের পূর্বের দাম নির্ধারণ করার দাবি জানান তিনি।
এমএইচএন/এমএ