গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে যারা নির্বাচনে যাবেন না বলছেন, তারা যদি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যান, তাহলে আপনারা জাতীয় বেঈমান এবং নর্দমার কীটে পরিণত হবেন।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক অধিকার পরিষদ আয়োজিত চা শ্রমিকসহ সব শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নুর বলেন, দেশের বর্তমান সব সংকটের মূলে আওয়ামী লীগ সরকার। এ সরকার ফ্যাসিবাদী, দেশদ্রোহী ও বিদেশি আমদানির সরকার। দেশের সংকট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বিরোধী দলগুলো জোরালো কোন বক্তব্য দেয়নি। কারণ সবাই কারণ ভারতের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দলের কেউ নন। যদি তিনি কেউ না হন, তাহলে তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব কেন নিয়ে নেওয়া হলো না। দলের কেউ না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? আমরা চাই তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

নুর বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলছি, আপনি যদি দেশকে ভারতের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে চান তাহলে জনগণ তা হতে দেবে না। তারা রাস্তায় নেমে আসবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে। কিন্তু সরকার সার্বভৌমত্ব নষ্ট করে সম্পর্ক করে গদি টিকিয়ে রাখতে চায়। তাই তাদের প্রতিহত করতে হবে। 

তিনি বলেন, সরকার দেশকে শ্রীলঙ্কার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই বিদেশি সরকারগুলো তাদের সমর্থন দিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বরে ভারত যাচ্ছেন চুক্তি করার জন্য। ভারতের সঙ্গে চুক্তি করার আগেই জাতীয় সংসদে সেটি জনগণকে জানাতে হবে যে, কী বিষয়ে চুক্তি হবে। আমরা ভারতের রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। প্রয়োজনে জীবন দেব, ইলিয়াস আলীর মতো গুম হব।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনার অবৈধভাবে সরকারকে ক্ষমতায় রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। কেন ১৫৯ আসনে ইভিএম দিতে হবে? সবগুলো আসনে দিন, না হয় একটিতেও নয়। আমরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাজনীতি করতে এসেছি।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নুর বলেন, আপনি যদি ক্ষমতা ছাড়ার পর নিরাপত্তা নিয়ে ভয় পান, তাহলে আমরা নাগরিক হিসেবে আপনার পাশে আছি। অবিলম্বে চা শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা এবং অন্যান্য শ্রমিকদের মজুরি ২০ হাজার টাকা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যারা শ্রমিক নেতা, যেমন শাজাহান খান, শামসুর রহমান, শিমুল বিশ্বাস, মশিউর রহমান রাঙ্গাদের চৌদ্দগোষ্ঠীর কেউ শ্রমিক ছিলেন কি না আমার জানা নেই। শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা কেউ শ্রমিকনেতা না হওয়ায় শ্রমিকদের কোনো দাবি আদায় হয়নি।

নুর বলেন, ঋণের নামে সরকার মিথ্যাচার করছে। আগে বলছে তাদের ঋণ লাগবে না, কিন্তু পরে তারা ৬৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে। অথচ সরকারের নেতাকর্মীরা বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণ, ছাত্র ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতারা।

আইবি/আরএইচ