আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে আগ বাড়িয়ে কথা বলা বন্ধ করতে হবে। তাদের উচিত হবে একেবারে চুপ থাকা।

বুধবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাত করে এসব কথা বলেন তিনি। আগেরদিনই ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন। ঠিক এর পরদিনই তিনি সিইসির সঙ্গে দেখা করলেন তিনি।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, তারা দেড়শ আসনে ইভিএম না করে তিনশটাতে করতে পারে। কিন্তু মাত্র পাঁচটি করে কেন্দ্রে হতে হবে। প্রতি আসনে শ খানেক কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটিতে হবে। আমরা যুক্তি তর্ক দিয়ে দেখতে পারি। আমার পরামর্শকে সিইসি যুক্তিসঙ্গত মনে করেছেন। বলেছেন, দেখি-কী করে কী করা যায়।

তিনি বলেন, কমিশন খুব কঠিন অবস্থার মধ্যে চলছে। সরকারের উচিত হবে যে করেই হোক সুষ্ঠু নির্বাচন করা। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে আগ বাড়িয়ে কথা বলা বন্ধ করতে হবে। আজকেও হানিফ (মাহবুব উল আলম) বলেছেন, ‘দেড়শ নয়, আমরা তিনশ আসনে ইভিএম চাই।’ তাদের উচিত হবে একেবারে চুপ থাকা। এখন আওয়ামী লীগের এমন কিছু করা উচিত হবে না যেন অন্যরা ভোটে না আসে।

ইভিএমের কারণে যদি নির্বাচনটাই বন্ধ হয়ে যায়, বয়কট হয় তাহলে তা জাতির জন্যে দুর্ভাগ্যজনক হবে বলে উল্লেখ করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। যদি জনস্বার্থবিরোধী কিছু হয়, সেক্ষেত্রে সিইসি পদ থেকে কাজী হাবিবুল আউয়াল পদত্যাগ করবেন বলে আশা করেন তিনি।

ইভিএম নিয়ে বেশ কিছু দলের বিরোধিতায় ভোট বয়কট হলে দায় কার হবে— জানতে চাইলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এটা ইসির ঘাড়ে চাপবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। সরকার যেমন দায়ী হবে, ইসিও দায়ী হবে। আমার মনে হয়, ইসি যে এখানে শতভাগ একমত হয়েছে তা নয়। তারা সরকারি চাপে রয়েছে। তারা ভাবছে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতের সময় ভাসানি অনুসারী পরিষদের প্রতিনিধিদের কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। অনিবন্ধিত দলটির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্ত শিথিল, ‘না’ ভোট চালু ও গণ সংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

এসআর/আরএইচ