সরকার ও চা বাগান মালিকেরা মিলে শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন নস্যাতের ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ। 

তিনি বলেছেন, চা শ্রমিকেরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। শ্রমিকদের প্রতি বাগান মালিকদের তো কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই, পাশাপাশি সরকারেরও কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং সরকার বাগান মালিকদের পক্ষ নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে মাটিচাপায় চার নারীর মৃত্যু

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাসদ আয়োজিত এক সমাবেশে চা শ্রমিকদের আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে তাদের দাবি মেনে নিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বজলুর রশিদ বলেন, সরকার ও বাগান মালিকেরা আলোচনার নামে কালক্ষেপণ করছে। তারা চাচ্ছে আলোচনার ধোঁয়াশা তুলে শ্রমিকদের আন্দোলন ধ্বংস করতে। তারা জানে শ্রমিকরা কয়েকদিন আন্দোলন করবে তারপর পেটের দায়ে আবার কাজে যোগ দিবেন। কিন্তু তা হতে দেওয়া যাবেনা। শ্রমিকদের আন্দোলন যতদিন চলবে প্রয়োজনে শ্রমিকদের খাবারের জন্য আমরা লঙ্গরখানার ব্যবস্থা করবে। শ্রমিকরা এখন ৩০০ টাকা চাচ্ছে তা মেনে নিন। কয়েকদিন পরে ৫০০ টাকার জন্য আন্দোলন করা হবে।

আরও পড়ুন: চা-শ্রমিকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

তিনি বলেন, চা বাগানে শ্রমিকদের স্বাভাবিক জীবনের কোন ব্যবস্থা নেই। মালিকরা তাদের সাথে যে আচরণ করছে তা অমানবিক। ভারতে চা শ্রমিকরা বাংলাদেশি টাকায় ৪৫০-৫০০ টাকা হাজিরা পায়। আর আমাদের দেশে ১২০ টাকা দেওয়া হয়। এই ১২০ টাকাও সব শ্রমিকরা পায়না। কারণ প্রতিদিন ২৪ নিরিখ চা পাতা তুলতে না পারলে সে ১২০ টাকার কম পায়। আবার সর্বোচ্চ গ্রেডের বাগানের জন্য ১২০ টাকা। অন্যান্য গ্রেডের বাগানের জন্য আরও কম বেতন।

তিনি আরও বলেন, সরকার সাম্রাজ্যবাদী ধনিক ও লুটেরাদের স্বার্থ দেখেন। জনগণের স্বার্থ দেখেন না। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের ৫৩ শতাংশ মানুষ খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। তারা এখন দুই বেলার বদলে এক বেলা খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তাই দেশের এই সংকট উত্তরণে আগামী ২৫ আগস্টের হরতাল পালন করুন। 

সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাফর হোসেন, আবুল কালাম, মো. হারুনুর রশিদ প্রমুখ। 


আইবি/এমএ