খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার খবর ‘বিভ্রান্তিকর’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে— এমন খবর প্রকাশিত হয় কয়েকটি গণমাধ্যমে। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসার পর খালেদা জিয়া যেমন ছিলেন, এখনও তেমনই আছেন। নতুন করে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি কিংবা উন্নতি কোনোটাই হয়নি। তাকে আজ হাসপাতালে নেওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে তা ‘গুজব এবং বিভ্রান্তিকর’।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, সর্বশেষ চলতি বছরের ২৪ জুন ১৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন ম্যাডাম। যে অবস্থায় তিনি বাসায় ফিরেছেন এখনও সেরকমই আছেন। নতুন করে ওনার কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। মেডিকেল বোর্ডের অধীনে ওনার চিকিৎসা চলছে। ওনাকে হাসপাতালে নেওয়ার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা গুজব ও বিভ্রান্তিকর।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন— ম্যাডামের অবস্থা আগের মতো আছে। উনার শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। উনার পুরোনো যে রোগগুলো ছিল এখনও সেগুলো আছে। নতুন করে তার শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি ঘটেনি। এই মুহূর্তে ম্যাডামকে হাসপাতালে নেওয়ার কোনো চিন্তাও নেই।
আরও পড়ুন: ১৪ দিন পর বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তবে তার যে পুরোনো শারীরিক রোগ রয়েছে, সেগুলো ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে রাখা হয়েছে। তাই প্রতিদিন নিময় করে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় গিয়ে দেখে আসেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। প্রয়োজন অনুযায়ী করা হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং মেডিকেল চেকআপ। এর বাইরে মাঝে মধ্যে বড় ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হলে তখন অ্যাম্বুলেন্স করে মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ও টেকনোলজিস্ট নিয়ে এসে বাসায় তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তাই এই মুহূর্তে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পরে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান তিনি। এরপর থেকে তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় আছেন। এর মধ্যে পাঁচ বার ৬ মাস করে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। আর ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় ৫৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর একই বছরে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ৮১ দিন হাসপাতালে ছিলেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৪ জুন ১৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন তিনি।
এএইচআর/এসএসএইচ