শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা আছেন তাদের মুখোশ উন্মোচন করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আজ (বৃহস্পতিবার) বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে এ দাবির কথা জানান দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যারা জড়িত রয়েছে, তাদের অনেককে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনার যারা দেশি-বিদেশি পরিকল্পনাকারী, তারা এখনও পর্দার আড়ালে রয়েছেন। দেশবাসীর সামনে তাদের পরিচিতি স্পষ্ট নয়। এই হত্যাকাণ্ডের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী শক্তিদের পরিচয় সবার সামনে উন্মোচন করা হোক।

আজ থেকে এক যুগ আগে, ২০০৯ সালের এই দিনে বিডিআর (বর্তমান নাম বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু সদস্য। তারা পিলখানায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালান। নিষ্ঠুর আচরণ ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন সামরিক কর্মকর্তাদের অনেকের পরিবারের সদস্যরাও। দুদিনব্যাপী ওই বিদ্রোহ শেষে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ড করা হয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করার জন্য। এই ঘটনার পর কারা লাভবান হয়েছে সেটাও দেশবাসী জানতে চাই। ঘটনার পর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি কোড অব ইনকোয়ারি করা হয়। এই ইনকোয়ারি রায় এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। সেটি প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।

পিলখানার হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া ধীরগতিতে এগোচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, এ ঘটনার বিচারকার্য অনেক ধীর গতিতে এগোচ্ছে। এ বছর লিভ টু আপিল ও আপিলের কার্যক্রম চালু হবে বলে মনে হচ্ছে না। এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করার জন্য বিচার বিভাগের কাছে আবেদন করছি। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। তদন্তপূর্বক এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার আমরা দাবি করি।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি এই বছরের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া নিহতদের পরিবার এবং নিহতদের আত্মার শান্তির জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দোষীদের দেওয়া হবে বলে আশা করি।

হাফিজ আহমেদ বলেন, এ ঘটনার সময় একজন সুবেদার মেজর, অফিসারদের রক্ষা করতে গিয়ে নিজের প্রাণ হারিয়েছে। তার পরিবারকে এখনও কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি কামনা করছি।

এমএসি/এনএফ