দেশে সরকার নেই, আছে সার্কাস : রব
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, জ্বালানি তেলের মূল্য শতকরা ৫০ ভাগ বৃদ্ধি করেছে সরকার। বিশ্বের কোথাও ৫০ ভাগ দাম বৃদ্ধির এমন কোন নজির নেই। অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে গরিব মানুষের কষ্ট হয়। আমাদের এ আন্দোলন কোন ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের আন্দোলন বিদ্যমান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। দেশে আজ সরকার নেই আছে সার্কাস।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ফ্যাসিবাদ হটাও, শাসনব্যবস্থা বদলাও এবং জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি রুখে দাঁড়াও শীর্ষক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
জেএসডি সভাপতি বলেন, যে শাসন ব্যবস্থায় জনগণের ভোট কেড়ে নিয়েছে সাংবিধানিক অধিকারকে তছনছ করে দিয়েছে তার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিন্ডিকেটের হাতে সরকার জিম্মি। সুইস ব্যাংকে কাদের টাকা আছে তার তালিকা প্রকাশ করুন। আসলে এই পাচারকারীরা সরকারের গোলায় বসে আছে।
রব বলেন, সরকার বিছানায় শুয়ে পড়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চ নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখছে। গণতন্ত্র মঞ্চে যারা আছে তারা কখনো আপোষ করেনি। আমরা লড়াই করে স্বৈরাচারকে ক্ষমতাচ্যুত করব। এই লড়াই গরীব মানুষের। এই লড়াই গণতন্ত্রের।
তিনি বলেন, সরকার বিদেশিদের হাতে পায়ে ধরছে আমাদেরকে নির্বাচনে যেতে। যারা এই সরকারের সঙ্গে নির্বাচনে যাবে তাদেরকে ক্ষমা করা হবে না।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশের প্রথম দিনে আমরা সমাবেশ ও বিক্ষোভ করতে বাধ্য হচ্ছি। অনেকটা জরুরি পরিস্থিতি হিসেবেই আমাদের এ বিক্ষোভ সমাবেশ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, মধ্যরাতে হঠাৎ করে তেলের দাম বাড়িয়ে দিল। এক লাফে ৪১ শতাংশ থেকে ৫১ শতাংশ। এ দাম বাড়ানোর মানে কি? এ সিদ্ধান্ত সারা বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে নাভিশ্বাসের দিকে নিচ্ছে।
সাকি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ আত্মপ্রকাশ পরবর্তী এই দেশের ভবিষ্যৎ কি হবে? তা নিয়ে আলোচনা করার কথা, মানুষকে পরবর্তী গণতন্ত্র উদ্ধার নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ কি হবে তা ঠিক করার কথা। কিন্তু এখন জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে। নেমেই যেহেতু পরেছি, আমরা এই লড়াইকে যাতে তেলের দাম বৃদ্ধি প্রত্যাহার করে সেই দিকে নিয়ে যাবো।
তিনি বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে প্রত্যাহার করতে হবে। ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়ে গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং তিনি সরকারের
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদেরকে সরকার বাজে কথা বলার জন্য দায়িত্ব দিয়েছে। তারা লাগামহীন বলেই যাচ্ছে। গণতন্ত্র মঞ্চ পরিত্যক্তদের দল নয় বরং আওয়ামী লীগ পরিত্যক্তদের দল। তথ্যমন্ত্রী বিভ্রান্তিমূলক কথা বলেন প্রতিদিন। ক্ষমতা চলে গেলে তার রাস্তায় নামার সাহস থাকবে না। সবাইকে জামাত মনে করবেন না। গণতন্ত্র মঞ্চ জামাত নয়। জনগণ কিছুদিন পর আপনাদের জামাত বানাবে।
বিক্ষোভ সমাবেশ নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
আইবি/আইএসএইচ