ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের মৃত্যুর প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

রোববার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, ভোলায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের আক্রমণ হয়েছে। গুলি করে স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোশারফসহ অসংখ্য নেতাকর্মী পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন। এখনও আমাদের ভোলার দলীয় কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ। আহতদের চিকিৎসার ন্যূনতম সুযোগ দিচ্ছে না পুলিশ। 

আওয়ামী লীগ প্রায় ১৫ বছর ধরে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে— উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সময়ে তারা আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আমাদের ছয়শতাধিক নেতাকর্মী নিখোঁজ হয়েছেন। প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস বলে যে, গুলি-নির্যাতন করে জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম দমন করা সম্ভব নয়। এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

ফখরুল জানান, ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের মৃত্যুর প্রতিবাদে সোমবার (১ আগস্ট) সকালে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে সারাদেশের জেলা পর্যায়ে গায়েবানা জানাজা হবে। ২ আগস্ট বিক্ষোভ সমাবেশে হবে। একইসঙ্গে জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এটাকে বিচারবহির্ভূত হত্যা দাবি করছি না। কারণ আমরা বিচার পাই না। এ দেশে এখন কোনো বিচার পাওয়া যায় না। এ কারণে আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করি না। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এটা হত্যা। আর ইদানিং গুলি করে হত্যার বিষয়টি বেড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আজ বিদ্যুতের দাবিতে এ বিক্ষোভ হয়েছে। এটা জনগণের দাবি। এটি সরকার পরিবর্তনের কোনো আন্দোলন বা কর্মসূচি ছিল না। সেটাকেই তারা (সরকার) সহ্য করতে পারছে না। সেখানে তারা বিনা উস্কানিতে গুলি করেছে, আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, হত্যা করেছে।   

এএইচআর/আরএইচ