দেশের মানুষ দুর্দশার মধ্যে পড়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি দাবি করেন বলেন, সামনের দিনগুলোতে এর চেয়ে বেশি দুর্দশার আশঙ্কা রয়েছে।

রোববার (৩১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আগে কখনো সুইস ব্যাংকে টাকার কথা, সেকেন্ড হোমের কথা, বেগম পাড়া কথা শুনিনি বলে উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে সুইস ব্যাংকে টাকা পাচার, বেগম পাড়ার কথা শুনছি।

‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন বেগম পাড়ায় রাজনীতিবিদদের চেয়ে ব্যবসায়ীদের বাড়ির বেশি। কারা সেসব রাজনীতিবিদ, কারা সেসব ব্যবসায়ী, তা জানার অধিকার বাংলাদেশের মানুষের রয়েছে। কিন্তু সরকার এসব তথ্য জানাবে না। কারণ এসব লোক আওয়ামী লীগের। সরকার তাদের কাছ থেকে সুবিধা নেয় বলেই কিছু প্রকাশ করতে চায় না।’

গত আট বছরে বাজেটে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই শ্রমিক নেতা। তিনি বলেন, তাহলে এখন বিদ্যুৎ ঘাটতি কেন? প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রয়োজনের দ্বিগুণ বিদ্যুৎ আমাদের উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা এত বেশি হলে বেশি টাকা দিয়ে কুইক রেন্টালের চুক্তি বারবার বাড়ানো হচ্ছে কেন?

দেশে কুইক রেন্টাল নামক এক আজব বিষয় আছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, কুইক রেন্টালের নামে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে কিছু ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে। শুধু শুধুই কী দেওয়া হচ্ছে, নাকি সেই টাকার ভাগ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। না গেলে অপ্রয়োজনীয় এই খাতে কেন টাকা ব্যয় করা হচ্ছে?

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, সরকার বলেছিল বিদ্যুৎ ব্যয়ের চেয়ে উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি। এজন্য বিদেশে রপ্তানি করার চিন্তা করছে বাংলাদেশ। উৎপাদন ক্ষমতা এত বেশি হলে কেন এত বেশি টাকা দিয়ে কুইক রেন্টালের চুক্তি বার বার বাড়াচ্ছে। এমনকি আইন করা হয়েছে সংসদে এসব দুর্নীতি অনাচারের বিরুদ্ধে কখনো আদালতে মামলা করা যাবে না। জনগণের টাকা লুট করা হবে, এজন্য জনগণ আদালতে যেতে পারবে না। এরকম অনাচার কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিক্ষোভ সমাবেশ আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক, কেরানীগঞ্জ থানা সভাপতি নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।

এএইচআর/এমএইচএস