বিদেশি কূটনীতিকরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতে এসে কোনো পরামর্শ দেননি। আগের ধারাবাহিকতা অনুসরণে তারা ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) উদ্দেশে এমনটিই বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রোববার (২৪ জুলাই)  নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকরা অযাচিতভাবে নাক গলিয়েছে- জাসদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।  এদিন আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশন জাসদ কমিশনকে লিখিতভাবে বলেছে, কতিপয় বিদেশি কূটনৈতিক ইসির কাজে কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী এবং অযাচিতভাবে নাক গলিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত এ ধরনের কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী অযাচিত নাক গলানোকে প্রশ্রয় না দেওয়া।

জাসদের এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের দুটি গ্রুপ কমিশনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছিল। তবে তারা কোনো ধরনের কোনো পরামর্শ দেয়নি। আগের কমিশনের মতোই ধারাবাহিকতা অনুসরণে ইসির সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন তারা।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা সবাইকে আহ্বান করব আপনারা আসেন। সবার বক্তব্য, নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়। শাসকদলকে বলতে শুনেছি, আমরা ওদের নিয়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছি। আমরা সুষ্পষ্টভাবে বলেছি, আমরা কাউকে বাধ্য করতে পারব না, সেটা আমাদের দায়িত্বও নয়। আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো।

সংবিধান, আইন, বিধিসহ নানা ধরনের আইনগত বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের ক্ষমতার খুব একটা ঘাটতি দেখছি না। ক্ষমতার খুব একটা অভাব আছে-এটা ফিল করছি না। আইনানুগভাবে প্রয়োগ করলে সহযোগিতা দিন। সমর্থন না দিয়ে বিরুদ্ধাচরণ করলে কঠিন হবে। আমাদের ওপর আরোপিত ক্ষমতাগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করব।

সিইসি জানান, নির্বাচনের সময় বিধি-বিধানগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। সে সময় ইসির দৃষ্টিভঙ্গি কঠোর হতে পারে শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। নির্বাচনে সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআর/আরএইচ