বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, কুইক রেন্টালের নামে বিদ্যুৎ খাত থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে। তারা জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করছে।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তাহলেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।

রোববার (২৪ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএন‌পির উদ্যোগে ওয়াসার পানির মূল্য বৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তি‌নি এসব কথা বলেন।

সেলিমা বলেন, এই স্বৈরাচার সরকার দেশের মানুষের ওপর জুলুম নির্যাতন করছে। তারা দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে কবর রাজ্যে পরিণত করেছে। স্বৈরাচার সরকারের অধীনে বাংলাদেশে আর কখনো কোনো বিনা ভোটের নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, লোডশেডিং এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ যখন দিশেহারা তখন এই সরকার আবার নতুন করে পানির দাম বৃদ্ধি করেছে। পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের প্রতিটি মানুষ আজ ভুক্তভোগী।

জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, কারণ তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। তাই তারা নির্লজ্জের মত দেশ পরিচালনা করছে এবং দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ। এই রাজপথ জনগণের রাজপথ। বিএনপি এই রাজপথ দখল করে বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করবে। এই স্বৈরাচার সরকারের পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথ ছাড়বে না।

জাতীয়তাবাদী যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান বলেন, সরকার দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে। তাদের বিচার এই বাংলাদেশেই একদিন হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশে কোনো স্বৈরাচার শাসককে রাজত্ব করতে দেওয়া হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম উপস্থিত নেতাকর্মীদের সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে সরকার পতনের আন্দোলনে সবাইকে রাজপথে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, বর্তমান সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। তাই তারা জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

আইবি/এমএইচএস