সরকার জনগণের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে : গয়েশ্বর
সরকার জনগণের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ উপজেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকারের গুণকীর্তনের কোনো অভাব নেই। টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়া ইচ্ছা-অনিচ্ছায় অথবা চাকরি-জীবন বাঁচাতে সরকারের প্রশংসাসূচক কথা বলে থাকে। কিন্তু মাঠ বলে কী? তারা লাখ লাখ কোটি টাকা লুটপাট করল, বিদ্যুৎ নিশ্চিত করল ২৬ হাজার মেগাওয়াট! আজ সরকার বিদ্যুৎ না দিয়ে জনগণের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনের বিষয় টেনে গয়েশ্বর বলেন, সংসদ সদস্য নির্বাচন করবে জনগণ, যাদের বয়স ১৮ বছর এবং ভোটার। পুলিশ, র্যাব অথবা সরকারি কর্মচারী, হুন্ডা-গুন্ডা জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার রাখে না। অথচ এরাই দিনের ভোট রাতে করে। এই লজ্জা থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচনে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। আমরা সেই নির্বাচন দেখতে চাই। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না। এ সরকারের অধীনে বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে কোনো প্রহসন করতে দেওয়া হবে না।
গয়েশ্বর বলেন, আওয়ামী লীগ বিদেশিদের নিয়ে আবারো ভাগ-বাটোয়ারা করতে চায়। কিন্তু সময়মতো ভাগবাটোয়ারা দেবে- অতীত তা বলে না। আমরা রাজনীতি করি গণতন্ত্রের জন্য, ভাগবাটোয়ারার জন্য নয়।
তিনি বলেন, যারা নিজের সুবিধা বা ভোগের জন্য দল করতে চান তারা কেটে পড়ুন। কারণ, বিএনপি কাউকে সুযোগ সুবিধা দিতে পারবে না। বিএনপি আপনাকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারবে। দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। যার দেশপ্রেম নেই, তিনি দেশ ও জনগণকে কিছু দিতে পারেন না।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, তারেক রহমান বলেননি বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান। বিএনপি ক্ষমতায় যাবে কি যাবে না, তা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। কোন দল ক্ষমতায় যাবে, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। তার আগে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরে পেতে হবে। ভোটের মাধ্যমে জনগণ প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। এ ফয়সালা রাজপথে হতে হবে। রাজপথ ছাড়া এ ফয়সালা হবে না।
গয়েশ্বর চন্দ্র আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কবে যাবে, তা তারাই ভালো জানে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ। পালাতে চাইলেই পালানো যায় না। সেটা কিন্তু শ্রীলঙ্কা সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেল রানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শাহীনের পরিচালনায় আরও উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুর রহমান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান অভি প্রমুখ।
এএইচআর/আরএইচ