নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার নিষিদ্ধসহ ৫ প্রস্তাব গণতন্ত্রী পার্টির
নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার নিষিদ্ধসহ নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছে গণতন্ত্রী পার্টি।
বুধবার (২০ জুলাই) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসির সংলাপে অংশ নিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন লিখিত প্রস্তাবগুলো দেন।
বিজ্ঞাপন
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এবারের নির্বাচন কমিশন আমাদের পবিত্র সংবিধানের ১১৮ নং অনুচ্ছেদের আলোকে নির্বাচনী আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি কাঠামো তৈরি করে তার পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদেরকে নির্বাচিত করা হয়েছে। যা বিগত ৫০ বছরেও পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয়নি। বর্তমান সংসদ এই আইন পাস করে একটি যুগান্তকারী ভূমিকা নিয়েছে। এজন্য আমাদের সরকারপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বর্তমান সংসদকে ধন্যবাদ জানাই। এবারের কমিশন যেহেতু সাংবিধানিক ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত হয়েছে তাই আপনাদের কাছে জনগণের দায়িত্ব ও প্রত্যাশা অনেক বেশি।
গণতন্ত্রী পার্টির প্রস্তাবগুলো হচ্ছে
১। সব দলের অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা অর্থাৎ ‘আমার ভোট আমি দেব যাকে ইচ্ছে তাকে দেব’ এই নীতির আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
২। নির্বাচনে কালো টাকা, পেশীশক্তির ব্যবহার বন্ধ করার লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এই প্রসঙ্গে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অধ্যায় ২ নির্বাচন কমিশন ৫ এর (২) ধারা অনুযায়ী সরকারের সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষ কমিশনকে দায়িত্ব পালনে সহায়তা দেবে এবং এই উদ্দেশ্যে কমিশন রাষ্ট্রপতি, কমিশনের সঙ্গে পরামর্শক্রমে যা প্রয়োজন মনে করবে সে ধরনের নির্দেশনা জারি করতে পারবে’। এই বিধির আলোকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক করার জন্য কালো টাকা, পেশীশক্তি রোধ করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব নিতে হবে। সব কর্মকাণ্ড আমাদের পবিত্র সংবিধানের আলোকে হতে হবে।
৩। নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।
৪। স্বাধীনতাবিরোধী কোনো রাজনৈতিক দল এবং যুদ্ধাপরাধী ব্যক্তি নির্বাচনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
৫। প্রতিটি ক্ষেত্রে ইভিএম এর মাধ্যমে নির্বাচন করা যেতে পারে। তবে এটি যেহেতু মেশিন, নিয়ন্ত্রণ করবে নির্বাচন কমিশন, তাই কোনো অবস্থাতেই যাতে কেউ প্রযুক্তি ব্যবহার করে হ্যাকিং না করতে পারে সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক থাকতে হবে।
এসআর/জেডএস