আগামী জাতীয় নির্বাচনে যে দল পরাজিত হবে তারা হয়তো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন বাস্তবতায় দাঁড়িয়েছে। এজন্য দেশের রাজনৈতিক নেতারাই দায়ী।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বনানী জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় দলের ঢাকা মহানগর উত্তরে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল আলম রুবেল পার্টি চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে এসব কথা বলেন তিনি ।

জি এম কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবর্তন হয় আবার শান্তিপূর্ণভাবে সরকার গঠন হয়। আবার সরকারের কেউ পদত্যাগ করলে, শান্তিপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে তা পূরণ হয়। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতা ভিন্ন করা হয়েছে। এখানে নির্বাচন যেন যুদ্ধ, নির্বাচনে পরাজিত হলে তাকে মরতে হবে। এমন বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়নি। এমন বাংলাদেশের জন্য বীর শহীদরা আত্মত্যাগ করেননি। 

জনগণের কাছ থেকে দেশের মালিকানা ছিনতাই হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রকৃত মালিক হচ্ছেন জনগণ, তারা যাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন তারাই জনগণের মতামতের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করবেন। কিন্তু এখন দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের কাছে নেই। দেশের সাধারণ মানুষ যেন আবার উপনিবেশিক আমলের ন্যায় প্রজা হয়ে গেছেন।

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বাস্তবতা অনেকটাই এক বলে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, শ্রীলঙ্কায় ১০ বছর গৃহযুদ্ধ চলেছে, সেখানে কোনো পর্যটক যায়নি কিন্তু দেশটি দেউলিয়া হয়নি। জবাবদিহিতাহীন সরকারের গোঁয়ার্তুমির ফলে অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর ও অপরিকল্পিত মেগা প্রকল্প গ্রহণ ও সে জন্য গৃহীত সুদসহ বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে গিয়েই শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়েছে। আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে এর কিছুটা মিল রয়েছে। অভিযোগ আছে- লুটপাটের কারণে, মেগা প্রকল্পগুলোতে অনেক বেশি ব্যয় হয়। ফলে, ওই প্রকল্পের আয় দিয়ে ঋণ শোধ করা অসম্ভব হতে পারে। কিন্তু যখন সুদসহ ঋণ পরিশোধ করতে হবে, তখন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ পেতে পারে এমন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির প্রমুখ।

এএইচআর/ওএফ