কূটনীতিবিদদের সঙ্গে বিএনপি দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত তিনি খুব সুন্দর উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, আধুনিক বিশ্বের এটা হচ্ছে একটা নিয়মিত রুটিন ব্যাপার, সৌজন্যবোধ। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমরা কথা বলি, নট দেট বিএনপির সঙ্গে বলি, আমরা সব দলের সঙ্গে কথা বলি।

রোববার (১৭ জুলাই) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। পরে দলের ত্রাণ তহবিলে দলীয় নেতাকর্মীদের অর্থ সহায়তা গ্রহণ করেন তিনি।

সম্প্রতি জাতিসংঘের ঢাকার আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্র চার্লস হোয়াইটলি বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে পৃথক সাক্ষাৎ করেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যের প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এটা আজকে নয়, বহুদিন ধরে হয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি পারঙ্গম। তারা যত ধরনের মিথ্যা কথা বলে যা কিছু করেছে, তারা ফলস চিঠিও আনিয়েছিল ইউনাইটেড নেশন থেকে। তবে আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি যে, আমরা বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করি, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ বিষয় নিয়ে কথা বলি। তার বাইরে তো আমরা কথা বলি না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকা বিশ্বদ্যালয় থেকে শুরু করে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মানের শিক্ষা এখন হচ্ছে, কলেজগুলোতে শিক্ষকদের মারছে, প্রিন্সিপালকে ধরে এমপি মারে। আজকে দেখলাম এক উপজেলা চেয়ারম্যানকে এমপি নিজে মারছে। এই তো অবস্থা। দেশে টোটাল দুঃশাসন শুরু হয়ে গেছে এখন। এটাকে বলে ব্যর্থ রাষ্ট্র তৈরি হওয়া।

স্বাস্থ্যখাত একেবারে ধ্বংস হওয়ার কারণে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পাওয়া, টাউট-বাটপারদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমার নিজের কথা বলি, গত তিন-চারদিন আগে হাসপাতালে গেলাম। আমাকে টেস্ট ধরিয়ে দেওয়া হলো ২২ হাজার টাকা। শুধু টেস্ট। অনলি ব্লাড অ্যান্ড আল্ট্রাসনোগ্রাম। প্রত্যেকটা হাসপাতালে আপনাকে টেস্টের ফর্দ ধরিয়ে দেবেই। এখানে সমস্যা, এটা দেখার কেউ নেই।

তিনি আরও বলেন, দেশে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ১১০টার মতো। ব্যাঙের ছাতার মতো তৈরি হচ্ছে। সেখানে কোনো টিচার নেই, বেশিরভাগ হাসপাতালে নার্স নেই, নার্সিং ইনস্টিটিউট নেই। সেগুলোর দিকে সরকারের কোনো খেয়াল নেই। যার ফলে আজকে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এএইচআর/জেডএস