ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ‘আনন্দ’ নেই : মির্জা ফখরুল
দুর্ভোগ-ভোগান্তিতে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ‘আনন্দ’ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিশেষ করে ট্রেনের কথা আপনি বলছেন, এগুলোর কোনো অথোরিটি আছে? কোনো কর্তৃত্ব আছে? আছে বলে মনে হয় না। রাস্তা-ঘাটে আপনারা দেখেছেন প্রতিদিন কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে। রেলের সময়সূচির বিপর্যয়, দেরি করে ছাড়া, দেরি করে যাওয়া-আসা। মূল কথাটা হচ্ছে, এই সরকারের কোথাও কোনো কর্তৃত্ব নেই। মানুষের এই যে দুর্ভোগ-ভোগান্তি, তাদের কোনো আনন্দ নেই।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১০ জুলাই ) সকালে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার বলতে আমরা যেটা মনে করি যে, কোনো সুশাসন নেই, কোনো গভর্নেন্স নেই। শুধুমাত্র একটা দিকে তাদের লক্ষ্য, দুর্নীতি করা এবং প্রকৃত পক্ষে দেশকে তারা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে এতো বড়াই করেছেন, সেই বিদ্যুতে আজ লোডশেডিং করতে হচ্ছে তিন ঘণ্টা, চার ঘণ্টা করে। এর মূল কারণ হচ্ছে দুর্নীতি। কারণ পাওয়ার প্ল্যান্ট যেগুলো নিয়ে আসা হয়েছে এটা সম্পূর্ণভাবে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে আনা হয়েছে। এসব প্রকল্প স্থাপনে কোনো আন্তর্জাতিক টেন্ডার পর্যন্ত হয়নি এবং এমন আইন করা হয়ে যে, এখানে যদি কোনো অভিযোগ উঠে তাহলে কোনো রকমের মামলা করা যাবে না, অর্থাৎ ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে। কোনো সভ্য দেশে কোনো প্রকিউরমেন্টের ক্ষেত্রে এটা কোনোভাবে হতে পারে না।
কোনো পরিকল্পনাই সরকারের নেই অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গ্যাসের কথা বলছে, আজকে এলএনজি নেওয়ার জন্যে এই সরকার গ্যাস উত্তোলনের কোনো ব্যবস্থা করেনি। তারা পুরোপুরিভাবে বিদেশে থেকে এলএনজি আমদানি করে ১-২টি কোম্পানিকে সহযোগিতা করার জন্য তারা এসব দুর্নীতি করছে। গোটা ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশকে লুট করার জন্য সমস্ত পরিকল্পনা করে। প্রকৃত পক্ষে এই সরকার একটা লুটেরা সরকারে পরিণত হয়েছে, আওয়ামী লীগ একটা লুটেরা দলের পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, অনির্বাচিত সরকারের উন্নয়নের যে মিথ, যে ধুঁয়া তারা তুলেন, এটা সম্পূর্ণভাবে তাদের দুই লক্ষ্য আছে। একটি হচ্ছে দুর্নীতির মাধ্যমে তাদের পকেট ভারী করা এবং আরেকটি হচ্ছে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যে তারা উন্নয়ন করছে। প্রকৃত পক্ষে এদেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। এখনো দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে গেছে। শতকরা ৪২ ভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সব সময় দলীয় কর্মসূচি শেষ করে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে কারাগারে যাওয়ার পর দলের স্থায়ী কমিটি সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতি ঈদে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারত করে আসছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ ।
এএইচআর/এসকেডি