বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কী মনিটরিং করে- এমন প্রশ্ন তুলে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেছেন, এখন পিয়ন-চাপরাশিও বলে বিবিএ-এমবিএ, কী মুশকিল!

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবের ছাঁটাইয়ের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজিবুল হক বলেন, বিবিএসের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ১৮-২০ লাখ নতুন চাকরি প্রত্যাশী জব মার্কেটে প্রবেশ করে। এর মধ্যে দেশে-বিদেশে মিলিয়ে ৫-৬ লাখের কর্মসংস্থান হয়। বাকি সবাই থাকে বেকার, শিক্ষিত বেকার। 

তিনি বলেন, যে শিক্ষা ব্যবস্থা বেকারত্ব তৈরি করে, কর্মবিমুখ যে শিক্ষা ব্যবস্থা, সেই শিক্ষা ব্যবস্থা আমরা কেন রাখব? কেন আমরা কর্মবিমুখ শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার চিন্তা করছি না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ল'তে অনার্স, মাস্টার্স। আমার এক জুনিয়র, সে দেখলাম হঠাৎ করে লিখল, এলএলএম। আমি জিজ্ঞেস করলাম তুমি এলএলএম কোথা থেকে পেলে? বলে যে একটি বেসরকারি ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বললাম, তুমি তো যাওনি। বলে, অ্যাডমিশনের টাকা দিয়েছি, পরীক্ষা যাই দিয়েছি সার্টিফিকেট পেয়ে গেছি। 

মুজিবুল হক বলেন, এই যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশন মনিটরিং করে বলে আমরা কিছু পাই না। এই যে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি করে, এখন পিয়ন, চাপরাশি সবাই বলে বিবিএ, এমবিএ- আরে কী মুশকিলে পড়লাম! কী শিক্ষা ব্যবস্থা? এ শিক্ষা ব্যবস্থার তো লাগাম ধরা উচিত। এই যে ধ্বংসের পথে শিক্ষা ব্যবস্থা, এটি কন্ট্রোল করা উচিত।

মুজিবুল হক বলেন, পাবলিক ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলরদের নামে নানা অভিযোগ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন, তিনি এখন নেই। ছেলে, মেয়ে, ভাগ্নি, ভাগ্নির জামাই সবাইকে চাকরিতে ঢুকিয়েছেন আইন না মেনে। আবার তিনি চলে যাওয়ার পরে সবাইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, এই যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এত সম্মানীয় পোস্ট। এই যে পোস্টগুলো নিয়ে বদনাম করেন, এসব শিক্ষা মন্ত্রণালয় কন্ট্রোল করছে কি না, আমরা জানি না। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেগুলো সরকারি করা হয়েছে, সেগুলোর টিচারদের বেতন স্কেল সমন্বয় করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে বেতন পাচ্ছেন না। অনেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে অবসরে চলে যাচ্ছেন।

এইউএ/আরএইচ