যার শক্তি বেশি, সে-ই সিল মারবে : ফিরোজ রশীদ
নির্বাচনে যার শক্তি বেশি সে-ই সিল মারবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশনার সচিবালয়ের অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবের ছাঁটাইয়ের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, নির্বাচনের সময় যার ক্ষমতা ও শক্তি বেশি, লোক সংখ্যা বেশি তাকে কোন কিছুতেই রোধ করা যায় না। মুসলিম লীগ চেষ্টা করেছিল সত্তর সালে। খাজা খয়ের উদ্দিন দাঁড়িয়েছিলেন, আমি সেই সেন্টারের দায়িত্বে ছিলাম। বহু চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেননি। কারণ আমাদের সক্ষমতা বেশি ছিল।
তিনি বলেন, জয়ের জন্য সবাই নির্বাচন করে। নির্বাচনে যদি সক্ষমতা নিয়ে না দাঁড়াতে পারে, প্রতিদ্বন্দ্বী যদি সমকক্ষ না হয়, ভোট হয় না। এতে কেউ হারতে চায় না। এটা যুদ্ধক্ষেত্র, এখানে কোনো এথিক্স মানে না। যে যেভাবে পারে জিততে চায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না করি, তাহলে ঢাকায় বসে নির্বাচন কমিশন কোনোদিন কোন কিছুই করতে পারবে না। তার ঘোষণাতে কিছু যায় আসে না। আমরা বলি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি কমিশন সবকিছুই স্বাধীন। প্রকারান্তরে কোনো কমিশনই স্বাধীন নয়।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সব কমিশনই সরকার দ্বারা গঠিত হয়, সরকারের অধীনে কাজ করে। স্থানীয় প্রশাসন যে দিকে শক্তি দেখে, যার লোক দেখে, সেন্টারে যার লোক বেশি প্রশাসন সেই দিকে চলে যায়। কিচ্ছু করার থাকে না। যে যত টাকাই দিক। রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে, জনগণ যাকে সমর্থন করে, সে যখন ক্ষমতা নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যায়, দুর্বল প্রার্থী কিছুই করতে পারে না।
তিনি বলেন, সমকক্ষ সব দল যদি নির্বাচনে আসে, তাহলে নির্বাচন সঠিক ও সুষ্ঠু হবে। ইভিএম বা ব্যালটের নির্বাচনে যার শক্তি বেশি, সে-ই সিল মারবে। দিনেই সিল মারা হবে, ভোটার ও এজেন্টের সামনে সিল মারা হবে। আপনি কিছুই করতে পারবেন না। কমিশন-টমিশন করে কিছু হবে? রাজনৈতিক দল না চাইলে কমিশনের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। শুধু কমিশনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।
এইউএ/আরএইচ