ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে কি না এবং মেশিন আরও কিভাবে উন্নত করা যায় সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে অংশ নেবে না জেএসডি।

সোমবার (২০ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেএসডির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

মঙ্গলবার (২১ জুন) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জেএসডিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেএসডির পক্ষ থেকে জানান হয়, নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করা অর্থহীন ও অপ্রয়োজন মনে করে বিধায় জেএসডি অংশগ্রহণ করবে না। জেএসডি মনে করে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কোন দাবি রাজনৈতিক দল বা জনগণের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়নি। ইভিএম মেশিন নির্বাচনে জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশের অন্তরায় এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা।

এতে আরও বলা হয়, জনগণ বিশ্বাস করে ইভিএম সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখার ‘ডিজিটাল কারচুপির’ নির্ভরযোগ্য মেশিন। বিশ্বে প্রযুক্তির অধিকারী বিভিন্ন দেশ, যেমন যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ও মালয়েশিয়াসহ বহু দেশ যেখানে ইভিএম বর্জন করছে সেখানে প্রযুক্তিগত দিক থেকে পেছনে পড়া বাংলাদেশ ইভিএম ব্যবহারের দিকে এগোচ্ছে, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বাংলাদেশের নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা সমীচীন হবে না বলে উল্লেখ করে জেএসডির পক্ষ থেকে বলা হয়,  জনগণ এ চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।

এএইচআর/আইএসএইচ