আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ঘণ্টা বাজছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, আমাদের ইতিহাস বলছে কখনো এ দেশের মানুষ স্বৈরশাসককে গ্রহণ করেনি। তাই আওয়ামী স্বৈরশাসকের পতনের চূড়ান্ত পর্যায় চলে এসেছে। শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। তার পতনের ঘণ্টা, সাইরেন বাজছে। কারণ তিনি যেভাবে বিরোধী দল, মতকে ধ্বংস করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন, এতে বোঝা যায় তার পায়ের নিচে মাটি নেই। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে মানুষকে দমিয়ে রেখে ক্ষমতায় থাকতে চান তিনি। 

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির অঙ্গ সংগঠন তাঁতী দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাজারে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। 

রিজভী বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই তাঁত শিল্পের উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। ক্ষুদ্র-মাঝারি ও বড় ঋণ দেওয়া হয়েছিল তাঁতীদের। 

নানা রূপে আত্মপ্রকাশ করা এই ফ্যাসিবাদী সরকার আজ জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক খালেদা জিয়ার ওপর জুলুম-নির্যাতন করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া বন্দি, তারপরও তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত করতে এমন কোনো পথ নেই, যা এ সরকার ব্যবহার করছে না। এর প্রতিবাদে আজ সারাদেশে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছে। 

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিএনপিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ মানববন্ধনে করতে দেয়নি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সেখানে একদিকে পুলিশ নেতাকর্মীদের দাঁড়াতে দেয়নি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের কার্যালয়ের সামনে অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। মনে হচ্ছিল সেখানে হরতাল চলছিল।

আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যায়-দুর্নীতি আজ শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবে প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানুষের মুখ বন্ধ করতে নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছেন। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম ও তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমান তাঁতী দলের প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু গত ৪১ বছরেও সংগঠনের গঠনতন্ত্র তৈরি করতে পারেনি দলটির নেতারা। এমনকি সংগঠনের কোনো কার্যালয়ও নেই। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে তাঁতী দল ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করছে। কিন্তু সেখানে তাদের জন্য কোনো কক্ষও বরাদ্দ নেই।

এএইচআর/এসএসএইচ