অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাজী মোহাম্মদ সেলিম আত্মসমর্পণ না করেই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সগৌরবে থাইল্যান্ড চলে গেছেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এখন নিশ্চুপ কেন?

বুধবার (৪ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, হাজী সেলিম থাইল্যান্ড গেলেন, অথচ চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়েও চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পান না। কথিত দুর্নীতির মিথ্যে মামলায় তাকে বন্দি রেখে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধা দিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নানা কারসাজি করে থাকেন। আর হাজি সেলিম বা দিপু হক সিকদাররা কোনো অনুমতি না নিয়েই সরকারের প্রশ্রয়ে বিদেশ চলে যান। তখন আনিসুল হক নিশ্চুপ।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আবারও প্রমাণ করলেন শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে ও প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। তাকে তিলে তিলে নিঃশেষ করতেই উন্নত চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার অনুমতি না দিলে এ নিশিরাতের মিথ্যাবাদী সরকারকে দেশের জনগণ আর ছাড় দেবে না বলে হুশিয়ারি দেন রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে সরকার দলীয় ক্ষমতাসীনদের দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। বিএনপি নেতা বলেন, তাদের জন্য দেশের কোনো আইন-আদালত প্রযোজ্য নয়। আর বাকি সবাই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। আওয়ামী লীগের কৃপায় দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকরা প্রজা হিসেবে দেশে বসবাস করছেন।

এআর/এমএইচএস