বিএনপির রাজনীতি তিনটি বিষয়ের মধ্যে আবর্তিত : তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির রাজনীতি তিনটি বিষয়ের মধ্যে আবর্তিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা যে বক্তব্য প্রতিনিয়ত দিচ্ছেন, এগুলো গতানুগতিক। তাদের রাজনীতিটা গতানুগতিক বক্তব্যের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। তাদের রাজনীতি তিনটি বিষয়ের মধ্যে আবর্তিত-খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য, তারেক জিয়ার শাস্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
বিরোধী দল হিসেবে যে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার কথা, বিএনপি সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
দেশে ২০২০ সালের চেয়ে ২০২১ সালে দারিদ্র্য কমেছে- বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের এ তথ্য উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের এই রিপোর্ট প্রমাণ করে, দেশের তথাকথিত কিছু গবেষণা ও সামাজিক সংস্থা মানুষকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যেই করোনায় দেশে দারিদ্র্য বৃদ্ধির মনগড়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। আশা করি এসব অপপ্রচার এখন বন্ধ হবে।
বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট-রিকভারি অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স এইমড গ্লোবাল আনসার্টেইনটি’ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, এই রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২০ সালের তুলনায় বাংলাদেশে ২০২১ সালে দারিদ্র্য ০.৬ শতাংশ কমেছে এবং দারিদ্র্য যেখানে আগে ১২.৫ শতাংশ ছিল সেটি এখন ১১.৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
অর্থাৎ আমরা যে এতদিন ধরে বলে এসেছি, করোনা মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমেছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এই দুটো সমন্বয় করে তিনি দেশ পরিচালনা করেছেন, এতে দেশ উপকৃত হচ্ছে, সেই কথাটিই বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে উঠে এসেছে, বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট বলছে বাংলাদেশের দারিদ্র্য কমছে, অথচ আমরা দেখেছি কিছু পত্রপত্রিকায় দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে বলা হয়েছে। সুতরাং যে পত্রিকা ও যারা এ ধরনের মনগড়া তথ্য প্রকাশ করেছে, আশা করি বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টের পর এখন তারা সতর্ক হবেন এবং দারিদ্র্য নিয়ে বিভ্রান্ত্রিমূলক অপপ্রচারের অপচেষ্টা বন্ধ হবে।
বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০-২১ সালে পৃথিবীর মাত্র যে ২০টি দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধ্বনাত্মক, তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। বাংলাদেশের আগের দুটি দেশ- দক্ষিণ সুদান ও গায়ানার অর্থনীতির আকার ও জনসংখ্যা আমাদের চেয়ে অনেক কম। সুতরাং ২০২০-২১ সালে বাংলাদেশকে বিশ্বের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে এক নম্বর বলা চলে এবং বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টও বলে, দেশে চলতি অর্থবছরে ৬.৪ ও আগামী বছরে ৬.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। যদিও আশা করি এর চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে আমরা সক্ষম হব।
এসএইচআর/জেডএস