শ্রমিক দলের প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, পদের জন্য দৌড়ানো অত্যন্ত অমর্যাদার বিষয়। পদের জন্য আপনি যার কাছে তদবির করছেন, তিনি আপনাকে কতখানি ঘৃণা করছেন তা কল্পনাও করতে পারবেন না। তাই আপনারা পদের পেছনে না দৌড়ে নিজেদের নেতা হিসেবে যোগ্য করে গড়ে তুলুন। পদ আপনাদের পেছনে দৌড়াবে। আর যোগ্যতা অনুযায়ী যদি আপনি পদ লাভ করেন, তাহলে আপনি সেই পদের মর্যাদা পাবেন।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন আয়োজিত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক দলের সাবেক কার্যকরী সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরীর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শ্রমিক নেতা কাশেম চৌধুরী স্মৃতি স্মরণ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমি যখন তিন বছরের জন্য অ্যাম্বাসেডর হয়ে দেশের বাইরে যাই, তখন আমি শ্রমিক দলের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিই। আমি মনে করেছিলাম দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে থেকে সভাপতির পদটি ধরে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। তখন কাশেম চৌধুরী ভাই প্রথম আপত্তি জানান। কাশেম ভাই বলেন, আমি সভাপতির দায়িত্ব পালন করব, কিন্তু ভারপ্রাপ্ত। আমার পদত্যাগের প্রয়োজন নেই। তখন তিনি খুব সুন্দরভাবে জাফরুল হাসান ভাইকে নিয়ে তিন বছর শ্রমিক দলের নেতৃত্ব দেন। আজকে এ রকম নেতৃত্ব আমাদের মাঝে নেই, আমরা তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। তাই শ্রমিক দলকে শক্তিশালী করতে তাদের মতো নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুজিবর রহমান সারোয়ার বলেন, সারাদেশের মানুষ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বক্তব্য শুনে অবাক। সরকার, রাষ্ট্র আর দলকে একাকার করে দিয়েছে। রাতের বেলা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোট ডাকাতি করা হয়েছে। ফলে আজ তোফায়েল আহমেদের মতো রাজনীতিবিদ বলেন, রাজনীতি আর রাজনীতিবিদদের হাতে নেই।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় একটু বলে বেশি ও তাদের চাপায় জোর বেশি। সত্যকে মিথ্যা বানানো আওয়ামী লীগ ভালো পারে। তারা আমেরিকায় গিয়ে বিএনপিকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে আর দেশে এসে বলে বিএনপি বিদেশিদের কাছে যায়। তাই আজ দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি ও বিভিন্ন সংকট তৈরি হয়েছে তাতে মরহুম কাশেম চৌধুরীর মতো লোককে প্রয়োজন ছিল।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।  

এমএইচএন/এসকেডি