বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন। দলীয় প্রধানের সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

বুধবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় আনার পর এসব কথা বলেন তিনি। 

ডা. জাহিদ বলেন, ‌‘যে মানুষটি আলিয়া মাদ্রাসায় হেঁটে হেঁটে গিয়েছেন, সেই মানুষটি গত ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে হুইল চেয়ার বাউন্ড হয়েছেন। একজন হাঁটা মানুষ যদি হুইল চেয়ারে চলেন, তিনি কি ভালো আছেন?’

‘যে মানুষটি এভারকেয়ার হসপিটালে তিন ধাপে প্রায় ছয় মাস ভর্তি থেকেছেন, তাকে নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। আজকের বাস্তবতা হচ্ছে উনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ। উনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন উনি যাতে সুস্থ হয়ে ওঠেন। উনি নিজেও দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন’, বলেন তিনি।

ডা. জাহিদ বলেন, ‘মানুষের অসুস্থতা নিয়ে যারা ব্যঙ্গ করেন, যারা কথা বলেন, তাদেরকে বুঝ দেওয়ার ক্ষমতা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দিতে পারেন। আমাদের পক্ষে এটা সম্ভব না। উনি অসুস্থ যদি না-ই হতেন, আজকেই বা উনার মেডিকেল চেকআপের কি প্রয়োজন ছিল?’

মেডিকেল বোর্ড উনার এমন কী জিনিস উপলব্ধি করলেন যে, খালেদা জিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন? সেজন্য কিন্তু উনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজকের পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, বলেন ডা. জাহিদ।

মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডা. জাহিদ। 

হাসপাতালে খালেদা জিয়ার রেডিওলজিক্যাল টেস্ট, ইমেজিং, ব্লাড ও ইউরিন টেস্ট, লিভার ও কিডনি ফাংশন টেস্ট, হার্টের টেস্টসহ বিভিন্ন নিরীক্ষা শেষে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর বাসায় ফেরেন।

গুলশানের বাসার সামনে সংবাদ উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, মহানগর সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, এসএম জাহাঙ্গীর, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আল মামুন প্রমুখ।

এএইচআর/ওএফ