বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য যারা লড়াই করছেন, সরকার তাদের মাঠ থেকে সরিয়ে দিচ্ছে। তারা যাতে আন্দোলন করতে না পারেন, সেজন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। আজ আমাদের ইশরাক হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য, আবারও সেই ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন করা। যে নির্বাচনে বিরোধীদল তো থাকবেই না। বিরোধীদল যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারে, সেই ব্যবস্থা এখন থেকেই তারা শুরু করেছে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্বৈরাচার নিপাত যাক-গণতন্ত্র মুক্তি পাক শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রথমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করে এবং একইসঙ্গে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করে। আজ বাংলাদেশে চরম ক্রান্তিকাল চলছে। দেশে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। সবসময় সরকার ড্রাম পেটায়। বলার চেষ্টা করে, আজ বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে, বড় বড় প্রজেক্ট দিয়ে তারা বোঝানোর চেষ্টা করে অনেক উন্নতি হচ্ছে। আমরা দেখছি একদিকে যখন এ কথা বলা হচ্ছে, অন্যদিকে মানুষ না খেয়ে মরছে। আমরা দেখছি দরিদ্ররা আরও দরিদ্র হচ্ছে। 

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এত অবনতি হয়েছে যে, এখানে মানুষের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। অন্য কথা বাদ দিন। এই যে ঢাকা শহরের রাস্তা এটা নিয়ে কথা অনেক। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার মন্ত্রণালয় সবচেয়ে ব্যর্থ হয়েছে ঢাকাসহ সারা দেশে সড়কের নিরাপত্তা দিতে। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকায় গিয়ে ধরনা দিয়েছেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে হবে। সবসময় ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নাকি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। আজ প্রকাশ্যে, আমেরিকায় বসে প্রমাণ করেছেন, বিদেশিদের কাছে যারা ধরনা দেয়, তারা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আমেরিকার কাছে তো ধরনা দেওয়ার দরকার নেই, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করুন, তার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত প্রমুখ।

এমএইচএন/আরএইচ